তমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত সেই বিজিবি সদস্যের মৃত্যু


তমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত সেই বিজিবি সদস্যের মৃত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়ার ২০ দিন পর প্রাণ হারালেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম রাতে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত আক্তার হোসেনকে গত ১৩ অক্টোবর হেলিকপ্টারে করে রামু সেনানিবাসের সিএমএইচ থেকে ঢাকার সিএমএইচে নেওয়া হয়েছিল। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।”

ভোলা জেলার বাসিন্দা আক্তার হোসেন কক্সবাজারের ৩৪ ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। লে. কর্নেল খায়রুল আলম জানান, নিহত বিজিবি সদস্যের মরদেহ বর্তমানে ঢাকার সিএমএইচের মর্গে রাখা আছে। শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ ভোলার নিজ গ্রামে নেওয়া হবে এবং পরে সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হবে।

গত ১২ অক্টোবর সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম চালানোর সময় বিজিবির একটি দল মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা মাইনে আঘাত পায়। বিস্ফোরণে নায়েক আক্তার হোসেন গুরুতর আহত হন, তার বাম পায়ের গোড়ালি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং অন্য পাটিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে সহকর্মীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসস্থ সিএমএইচে ভর্তি করেন, সেখান থেকেই পরে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×