নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫১


নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫১

নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাত, হঠাৎ প্লাবন ও ভয়াবহ ভূমিধসে নেপালজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫১ জন। রোববার এই তথ্য নিশ্চিত করেন নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের মুখপাত্র শান্তি মাহাত।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে শান্তি মাহাত বলেন, “শুক্রবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজাধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন জেলায়। সব নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। এ সব দুর্যোগে নিহত হয়েছেন ৫১ জন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন ৪ জন।”

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পূর্বাঞ্চলের ইল্লাম জেলা। এখানেই মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের, যা মোট প্রাণহানির বড় অংশ। জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুনিতা নেপাল জানিয়েছেন, “এই নিহতদের প্রাণহানির কারণ ভূমিধস। ইল্লামের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধস হচ্ছে। এতে অনেক এলাকায় রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে এবং উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যদের পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। এ কারণে তৎপরতায় গতি আনা যাচ্ছে না।”

ইল্লাম ছাড়াও নিহতদের মধ্যে রয়েছেন উদয়পুর, পঞ্চধর, রাওতাহাট ও খোটাং জেলার বাসিন্দারা।

রাজধানী কাঠমান্ডুও রক্ষা পায়নি প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ থেকে। শহর ঘিরে প্রবাহিত নদীগুলোর পানি ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে প্লাবন। অনেক জায়গায় পানি ঢুকে পড়েছে ঘরবাড়ি ও রাস্তায়।

উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীকে নামানো হয়েছে। উদ্ধার কাজে সহায়তা করছে হেলিকপ্টার ও স্পিডবোট। সুনিতা নেপাল জানিয়েছেন, দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হলেও উদ্ধারকর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই দুর্যোগে ভ্রমণে এসে বিপাকে পড়েছেন শত শত পর্যটক। বিশেষ করে কাঠমান্ডুসহ বেশ কিছু জেলায় হোটেলগুলোতে আটকা পড়েছেন অনেক পর্যটক, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। তারা সবাই দশাইন উৎসব উপলক্ষে নেপাল ঘুরতে এসেছিলেন।

সূত্র: এনডিটিভি

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×