কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-সৌদির মধ্যে চুক্তি সই
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:১৭ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন এক মাইলফলক ছুঁলো বাংলাদেশ ও সৌদি আরব। দুই দেশের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো সাধারণ কর্মী নিয়োগ নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা শ্রমবাজারে দীর্ঘদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা পূরণ করল।
চুক্তিটি সই হয় সোমবার, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৌদি আরবের পক্ষে দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ বিন সোলাইমান আল-রাজী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সৌদি আরব ১৯৭৬ সাল থেকেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার হিসেবে কাজ করছে। তবে এতদিন সাধারণ কর্মী নিয়োগে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছিল না। ২০১৫ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ এবং ২০২২ সালে দক্ষতা যাচাই নিয়ে দুটি পৃথক চুক্তি হলেও, সাধারণ কর্মী বিষয়ে এটি প্রথম চুক্তি।
নতুন এ সমঝোতা অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে বিভিন্ন খাতে আরও বেশি দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী পাঠানোর পথ উন্মুক্ত হলো। একই সঙ্গে, কর্মীদের অধিকার, নিরাপত্তা এবং নিয়োগকারীদের দায়বদ্ধতা নিয়েও উভয় দেশ এখন থেকে একটি চুক্তিভিত্তিক কাঠামোর মধ্যে কাজ করবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করার পাশাপাশি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও সুরক্ষিত করবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অনুষ্ঠিত হয় একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সৌদি পক্ষের কাছে তুলে ধরেন, "নিয়োগচুক্তি যেন স্পষ্ট ও সঠিক হয়, ইকামা নবায়নের দায়িত্ব যেন নিয়োগকর্তা গ্রহণ করেন এবং যারা দেশে ফিরতে চান তারা যেন দ্রুত এক্সিট ভিসা পান।"
জবাবে সৌদি মন্ত্রী এসব দাবির দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশকেও নিরাপদ ও নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসন নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এ বৈঠকে আরও আলোচনা হয় দক্ষ কর্মী নিয়োগে প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ, প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে।
চুক্তি স্বাক্ষর এবং বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন, মিশনের উপপ্রধান এস এম নাজমুল হাসান এবং শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বীসহ দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।