জাতিসংঘে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘অপমানজনক’ ঘটনা ঘটেছে
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৪১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে একাধিক বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এসব ঘটনাকে ‘তিনটি নাশকতা’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত তদন্ত দাবি করেছেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি ও ফার্স্ট লেডি ম্যানিলা ট্রাম্প এস্কালেটরে ওঠার সময় সেটি হঠাৎ থেমে যায়, বক্তৃতার সময় টেলিপ্রম্পটার বিকল হয়ে পড়ে এবং অডিটোরিয়ামে শব্দ বন্ধ হয়ে যায়। তার দাবি, ঘটনাগুলো কাকতালীয় নয়, বরং পরিকল্পিত।
ট্রাম্প লিখেছেন, “গতকাল জাতিসংঘে সত্যি অপমানজনক ঘটনা ঘটেছে—একটা নয়, দুইটা নয়, একসঙ্গে তিন-তিনটা অশুভ ঘটনা। এটা কাকতালীয় নয়, বরং স্পষ্ট নাশকতা।” তিনি এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে তদন্তের জন্য চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এস্কালেটর থেমে যাওয়ার কারণ ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফার উল্টো দিক থেকে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত সিস্টেম সক্রিয় হয়ে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। আর টেলিপ্রম্পটার সমস্যার জন্য দায়ী ছিল মার্কিন প্রতিনিধিদলের নিজস্ব যন্ত্রপাতি, যা জাতিসংঘের সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল।
অডিও নিয়ে ট্রাম্পের অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেন, অডিটোরিয়ামের সাউন্ড সিস্টেম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে অংশগ্রহণকারীরা ইয়ারপিসের মাধ্যমে অনূদিত ভাষায় বক্তৃতা শুনতে পান।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এস্কালেটর বন্ধ করেছে বলে মনে হচ্ছে। যদি তা জাতিসংঘের কর্মী হয়ে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজও ঘটনাগুলোকে “অগ্রহণযোগ্য” মন্তব্য করে আনুষ্ঠানিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফেন দুজারিক আবারও স্পষ্ট করে জানান, “ট্রাম্প দম্পতি এস্কালেটরে ওঠার সময় তাদের ভিডিওগ্রাফারের অসাবধানতায় নিরাপত্তা ফাংশন সক্রিয় হয়ে সেটি থেমে গিয়েছিল।”
টেলিপ্রম্পটার সমস্যার প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “এটি যে-ই পরিচালনা করে থাকুক না কেন, বড় সমস্যায় পড়বে।” তবে শেষ দিকে যন্ত্রটি ঠিক হয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য চালিয়ে যেতে অসুবিধা হয়নি।
টাইমসের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, জাতিসংঘ কর্মীরা এস্কালেটর বিপত্তি নিয়ে মশকরা করেছেন। তিনি দায়ীদের গ্রেপ্তারের আহ্বানও জানান।