জোর করে চুল কেটে দেওয়া ব্যক্তির স্বাধীনতার লঙ্ঘনই নয়, মর্যাদার ওপর আঘাত: আসক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:১০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এক পথচারীর চুল ও জট জোর করে কেটে দিচ্ছেন। এ ঘটনাকে ‘অবমাননাকর ও বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আসকের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, প্রকাশ্যে কারও চুল জোরপূর্বক কেটে দেওয়া শুধু মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতার লঙ্ঘন নয়, বরং এটি মর্যাদার ওপরও সরাসরি আঘাত। এমন ঘটনা সমাজে আতঙ্ক, ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ প্রতিটি নাগরিককে আইনের আশ্রয়ে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার দিয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩২ জীবনের নিরাপত্তা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে, আর অনুচ্ছেদ ৩৫ অনুযায়ী কোনো নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
আসক মনে করে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকারের নীতির সুস্পষ্ট পরিপন্থী। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো অপরাধীদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা এবং ভবিষ্যতে যেন আর কোনো নাগরিক এমন অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করা।