আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার লাশে আগুন: সেই কনস্টেবল মুকুল কারাগারে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০১:০২ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় নিহত ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ কনস্টেবল মো. মুকুল চকদারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার পর বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আদালত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিন দুপুর পৌনে বারোটায় আদালতের কাঠগোড়ায় আনা হয় আসামি মুকুলকে। শুরুতেই রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম মো. মকবুল চাকদারকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। এরপর আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই মামলায় আসামির কী সম্পৃক্ততা রয়েছে তা আদালতে উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় নিশ্চুপ বসেছিলেন মুকুল চকদার।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আশুলিয়া ছয়জনকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা এ মামলার সমস্ত বিষয় তদন্ত সংস্থাকে জানিয়েছি তারা তদন্ত করছে।
ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় সাবেক এক এমপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এরপরই বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে এসআই মালেককে কিশোরগঞ্জ থেকে এবং কনস্টেবল মুকুলকে নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।