রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ: মার্কিন নাগরিক ও তার সহযোগী কারাগারে
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৩২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকার মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়ায় রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী ও তার সহযোগী এস এম গোলাম মোস্তফা আজাদকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ আসামিদের আদালতে হাজির করে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এনায়েত করিম চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর তার সহযোগীসহ পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন এবং ২০০৪ সালে সেখানে পাসপোর্ট পেয়েছেন। তিনি দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের জন্য বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসেছিলেন।
১৩ সেপ্টেম্বর সকালে মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়া এলাকায় একটি প্রাডো গাড়ি নিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় তাকে পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারায় পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং তার কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করে।
পুলিশের কাছে এনায়েত জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘নাজুক’ অবস্থায় রয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকার পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশে এসেছেন।
এজাহারে বলা হয়, এনায়েত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার সোনারগাঁও হোটেল এবং পরে গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করেন। এ সময়ে তিনি সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ‘অসন্তুষ্ট’। আগামী ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় বাতিল করবে, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ খুলে দেবে। তখন সেনাবাহিনী সমর্থিত নতুন জাতীয় সরকার অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হবে।
নতুন সরকারের সদস্য ও প্রধানকে একটি ‘বিশেষ মহল’ নির্ধারণ করবে বলে এনায়েত উল্লেখ করেন। তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তথ্য সংগ্রহ করে একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠাতেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।