ফরিদপুর-৪ থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে নিয়ে আলাদা আসন করা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:০৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর) আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা করে ফরিদপুর-৫ সংসদীয় আসন গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।
এই রিটটি দায়ের করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম. ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম. এম. শহিদুল ইসলাম শাহীন, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান শিকদারসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসনের আরও ১৬ জন।
শুনানিতে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যে চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তাতে চরভদ্রাসন, সদরপুর এবং ভাঙ্গা উপজেলার (দুটি ইউনিয়ন বাদে) সমন্বয়ে ফরিদপুর-৪ আসন নির্ধারিত হয়েছে। এই গেজেট প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়েছে। রিটে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১-এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ আসন একত্র করে তিন উপজেলার সমন্বয়ে একটি আসন করে। রিটকারীদের কয়েকজন পুরনো কাঠামো অনুযায়ী ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ আলাদা আসন পুনর্বহালের জন্য আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন তা বাতিল করে। এছাড়া ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। পরে ওই দুই ইউনিয়নের বিষয়ে হাইকোর্ট আলাদাভাবে রুল জারি করে।