‘ফাস্ট বোলার’ হতে বুমরাহর আত্মত্যাগ


‘ফাস্ট বোলার’ হতে বুমরাহর আত্মত্যাগ

জাসপ্রিত বুমরাহর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট ও খেলা বেছে নেওয়া নিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনে অনেক দিন ধরেই চলছে আলোচনা। কারণ, বাড়তি চাপ পড়লেই বারবার চোটে পড়েছেন এই ভারতীয় পেসার। অনেকে মনে করেন, এর জন্য দায়ী তার অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন। তবে সেই অ্যাকশন ধরে রাখতে গিয়ে বিস্তর আত্মত্যাগ করতে হয়েছে তাকে।

সম্প্রতি বুমরাহর এই আত্মত্যাগের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন ভারতের সাবেক বোলিং কোচ ভরত অরুণ। ‘বম্বে স্পোর্ট এক্সচেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শিবিরে এনসিএ-তে এসেছিল বুমরাহ। সে সময় দলে ঢুকতে পারেনি। কিন্তু ৩০ জনের দলে ছিল। সত্যি বলতে আমরা ওর বোলিং অ্যাকশন বদলাতে চেয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল ওর বলের গতি বাড়ানো। নতুন অ্যাকশনটা খুবই ভাল ছিল। কিন্তু বুমরাহ কিছুতেই জোরে বল করতে পারছিল না। বলে যদি গতিই না আসে, তা হলে নতুন অ্যাকশনে লাভ কী?”

তিনি জানান, বুমরাহর প্রাকৃতিক অ্যাকশন অদ্ভুত হলেও তাতে গতি ছিল। সমস্যা ছিল শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ। “বুমরাহ ভালই জোরে বল করতে পারত। গতি আচমকা কমে যাওয়ায় ফিজিও এবং স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচের সঙ্গে কথা বলি। আমি চাইছিলাম না ওর আসল বোলিং অ্যাকশন বদলাতে। একে তো সেই অ্যাকশন অন্য রকম, তার উপর বলের গতিও ছিল। সমস্যা ছিল একটাই, ওর শরীরে প্রচুর চাপ পড়ত,” বলেন ভরত অরুণ।

তিনি আরও জানান, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বুমরাহকে কঠোর ডায়েট ও জীবনযাপনের অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হয়েছিল। “আমরা বুমরাহকে বলি, জোরে বল করতে হলে ষাঁড়ের মতো শক্তি চাই। তার জন্য সঠিক খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা এবং আত্মত্যাগ দরকার। বুমরাহ সঙ্গে সঙ্গে সব মেনে নিয়েছিল। ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া করতে শুরু করেছিল, জিমে যাচ্ছিল রোজ।”

বুমরাহর পেশাদার মনোভাবের তুলনা করেছেন বিরাট কোহলির সঙ্গে। “বিরাট কোহলির মতোই ফিটনেসের ব্যাপারে প্রচণ্ড দায়বদ্ধ ছিল বুমরাহ। সে বার্গার, পিৎজা, মিল্কশেক খেতে খুব ভালবাসত। কিন্তু ভালো ক্রিকেটার হতে রাতারাতি সব ছেড়ে দিয়েছিল। পাঞ্জাবি ছেলের পক্ষে গুজরাটে থাকা সহজ ছিল না। কিন্তু বুমরাহের কাছে খাবারের থেকেও প্রিয় ছিল বোলিং,” বলেন ভারতের সাবেক এই বোলিং কোচ।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×