ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, দুই ফরাসিকে ইরানে কারাদণ্ড
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:২৯ এম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

দুজন ফরাসি নাগরিককে ইরানের এক নিম্ন আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন, দেশটির বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে। মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজ এই রায়ের খবর প্রকাশ করে।
এই রায় এসেছে এমন এক সময়ে, যখন প্যারিস ও তেহরানের মধ্যে বন্দী বিনিময় সংক্রান্ত আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতির আভাস মিলছিল।
দণ্ডপ্রাপ্তদের নাম সেসিল কোলার ও তার সঙ্গী জ্যাক প্যারিস, যাদের ২০২২ সাল থেকে ইরানে আটক রাখা হয়েছে। বর্তমানে তারাই ইরানে আটক একমাত্র ফরাসি নাগরিক। এর আগেই, ১৮ বছর বয়সী ফরাসি-জার্মান সাইক্লিস্ট লেনার্ট মনটারলোসকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছিল ইরানি আদালত। চলতি বছরের শুরুতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
রায়ের বিস্তারিত অনুযায়ী, একজন ফরাসি নাগরিককে ফ্রান্সের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ৬ বছর, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধে ৫ বছর এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তার জন্য ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যজনকে একই ধারায় যথাক্রমে ১০ বছর, ৫ বছর ও ১৭ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে কার কোন সাজা হয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি।
আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ থাকবে তাদের।
ফ্রান্সের দাবি, কোলার ও প্যারিসকে বেআইনিভাবে আটক রেখেছে ইরান এবং তাদের তেহরানের berপ্রতিষ্ঠিত এভিন কারাগারে রাখা হয়েছে। প্যারিস আরও অভিযোগ করেছে, এই দুই নাগরিককে যথাযথ কূটনৈতিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তবে তেহরান এই অভিযোগ নাকচ করেছে।
এদিকে, ফ্রান্সে বসবাসকারী ইরানি ছাত্রী মাহদিয়েহ এসফান্দিয়ারির গ্রেপ্তার নিয়ে ফ্রান্সের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছে তেহরান। এসফান্দিয়ারিকে চলতি বছর গ্রেপ্তার করা হয় ইসরায়েলবিরোধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের অভিযোগে।
মঙ্গলবার ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর জানান, “এসফান্দিয়ারির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন,” এবং ফ্রান্স তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে। তিনি আরও বলেন, “মামলার প্রক্রিয়া কিছুটা সময় নিচ্ছে, কিন্তু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি… আমরা চাই তাকে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হোক।”