জকসু নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ


জকসু নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য অংশ নিতে পারবেন না। ফলে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও হিজবুত তাহেরীর  মতো সংগঠন এবারের জকসু নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সদ্য অনুমোদিত জকসু বিধিমালায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর পাস হওয়া জকসু বিধিমালার গঠনতন্ত্রের ৪ নম্বর ধারা ২(খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইন অনুসারে নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের সদস্য হওয়ার ও সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।”

জকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা সরকার কর্তৃক কোনো সংগঠন নিষিদ্ধ করা হলে, সে সংগঠনের কেউ এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। যদি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, তবে তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।”

এদিকে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করা নিয়ে জটিলতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলো। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত  এবিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষণার আগেও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা জুলাই আন্দোলনের সময় পদত্যাগ করে আন্দোলনে অংশ নেন। আবার, জবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ না থাকায় বর্তমানে কারা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তা নির্ণয় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ছাত্রলীগের যারা জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ নেই, তাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি।”

আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “ইতোপূর্বে যারা ছাত্রলীগে ছিল, তাদের মধ্যে অনেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পদত্যাগ করে আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। শুধুমাত্র ছাত্রলীগের প্যাডে নাম থাকার কারণে যেন কেউ প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ না পড়ে।”

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “নির্বাচনের আগে সাংবাদিক ও সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আলোচনা করা হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কারও বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষে নিষিদ্ধ সংগঠনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠলে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×