দেশেই আছেন ডন-সামিরা
- বিনোদন ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:১৮ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য প্রায় তিন যুগ পরও উদ্ঘাটিত হয়নি। ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনা নিয়ে চলছে বিতর্ক ও নতুন তদন্ত। সম্প্রতি আদালত তার অপমৃত্যু মামলাটিকে ‘হত্যা মামলা’ হিসেবে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সালমান শাহ হত্যা মামলার দুই আলোচিত আসামি—‘সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক’ এবং চলচ্চিত্রের খলনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল হক ডন—দেশে অবস্থান করছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “এজাহারে যাদের নাম আছে, তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছি। শনাক্ত করতে পারলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।”
আদালত ইতিমধ্যেই আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অন্যদিকে সামিরার স্বামী সম্প্রতি তার আগাম জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন।
গত ২৯ বছরে সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাটি চারটি আলাদা তদন্ত সংস্থা অনুসন্ধান করেছে। প্রত্যেকেই এটি ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। তবে ২১ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে রমনা থানায় নতুন করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা। মামলায় সামিরা, ডন, বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সালমান শাহর মরদেহে রক্তের দাগ ছিল বলে দাবি করেছিলেন তার মা। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ সহকারী মোহাম্মদ সেকেন্দার বলেন, “সেই সময় গলায় যে দাগ ছিল, তা নোট করা হয়। পুরো শরীরের লক্ষণ দেখে ডাক্তার নিখুঁতভাবে ময়নাতদন্ত করেছেন। নিয়ম মেনে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে কেটে সেলাই করা হয়েছে।”
রক্তের দাগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মৃত্যুর আগে রক্ত থাকলে সেটির ছবি নিশ্চয়ই তোলা হয়েছিল। সেটা থাকলে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে ময়নাতদন্তের পর রক্ত লাগলে সেটা আলাদা বিষয়।”
১৯৯৭ সালে মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভি আহমেদ ফরহাদের জবানবন্দি নতুন করে সালমান শাহর মৃত্যুর রহস্য আলোচনায় নিয়ে এসেছে। তিনি দাবি করেছেন, “সালমান শাহকে হত্যা করে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজানো হয়েছিল।” জানা যায়, রেজভি নিজেও এতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার সব দিক পর্যালোচনা করে নতুন করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এবার কতটা অগ্রগতি হবে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সারা দেশের সালমান শাহ ভক্তরা।