শেখ হাসিনা যদি গণভবনে মারা যেতেন, আ.লীগ বেঁচে যেত: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:০১ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, “শেখ হাসিনা যদি গণভবনে মারা যেতেন, আওয়ামী লীগ বেঁচে যেত।”
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, অনেক ল্যাসপেন্সার গুরুপ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরবে। তবে ১৯৭৫ সালের আগস্ট ও ২০২৪ সালের আগস্ট এক নয়। তাঁর ভাষায়, “৭৫’র আগস্ট শেখ মুজিব ঘরে বসে খুন হয়েছিলেন, কেহ পালায়ে যায় নাই। আর ২৪’র আগস্টে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।” তিনি আরও বলেন, “নিজের ঘরে মারা গেলে রাজনৈতিক ভাবে যে একটা সহানুভূতি হতে পারে এটা বাংলাদেশে প্রমাণিত হয়েছে। একটি সহানুভূতি রাজনীতি, একটা মন্দিরের রাজনীতি। একটা শোকের রাজনীতি হতো। যেমন শেখ মুজিবকে নিয়ে একটি শোকের রাজনীতি তৈরি হয়েছে।”
তাঁর মতে, শেখ হাসিনার মাধ্যমে সেই ধরনের শোকের রাজনীতি সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “পালাতক সেনাপ্রধানকে দিয়ে পৃথিবীতে কোনো রাজ্য বিজয় হয় না।”
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ভবিষ্যতে টিকে থাকবে কি না, তা নিয়ে তিনি সন্দিহান। তাঁর মন্তব্য, “একজন পলাতক স্বৈরাচার কখন বিজয়বেশে ক্ষমতায় ফিরে আসে না। এরকম কোনো ইতিহাস নেই। হাসিনা যদি সিদ্ধান্ত নিত যে আমি গণভবনে থেকে মরে যাব, তা হলে তার দলটা বেঁচে যেত।” তিনি আরও বলেন, “যে দলের নেত্রী পুরো রাষ্ট্রকে নিয়ে পালায়, তার রাজনৈতিক আত্মহত্যা হয়েছে। এই নেতা আর কোনো দিন বাংলাদেশে মুখ দেখিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না।”
শেখ হাসিনার পরিবারের বিষয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “শেখ হাসিনার কোনো রাজনৈতিক লিনিয়াস নেই, তার ছেলে ও মেয়ে হচ্ছেন অপরাধী।” তিনি অভিযোগ করেন, “তারা কেহ বাংলাদেশকে ওন করে না, তাদের জন্য বাংলাদেশটা গায়-গরু, এখান থেকে অর্থ নিয়ে বিদেশে মাস্তি করবে।” সবশেষে তিনি বলেন, “তাই এসব বিবেচনায় আমরা একথা বলতে পারি আওয়মী লীগের রাজনীতি ডেথ পলিটিকস হয়ে গেছে।”