কুষ্টিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ডাকাতি
- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৫৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক গৃহবধূকে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ এবং ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ প্রায় এক লাখ টাকার মালামাল লুট করার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নে এই ঘটনায় দৌলতপুর থানায় ১৯ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের মামলা করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার আসামিরা হলেন চরদিয়াড় গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে তারিক রহমান, কায়ামারি এলাকার রসুল মহলদারের ছেলে মেহেদী হাসান লাভলু এবং একই এলাকার রশিদের ছেলে সুবেল।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেছেন, ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে রাতের খাবার শেষে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবররা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে আসামিরা দেশীয় তৈরি ধারালো হাঁসুয়া ও রামদা দিয়ে টিনের গেট খুলে ঘরে প্রবেশ করে। শ্বশুর ও শাশুড়ি বের হওয়ায় তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও হাত-মুখ বেঁধে একটি ঘরে আটক রাখে।
তিনি আরও জানান, মেজো দেবরের ঘরে আমাকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এক একজন আসামির মুখের গামছা খুললে আমি তাদের চিনে ফেলি। পরে তারা ঘরে থাকা স্বর্ণ ও রুপার অলংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু বলেননি, কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামী ও শাশুড়িকে বিষয়টি জানিয়ে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রথমে মামলা করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। কিন্তু পরে গৃহবধূ ও তার শ্বশুর পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, গ্রেফতার আসামিরা লাভলু, সুবেল ও তারিক নেতৃত্বে সাত থেকে আটজনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের অংশ। তারা প্রথমে কলেজপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে এবং ফেরার পথে ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।
ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, ধর্ষণ ও দস্যুতার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযান এখনো চলমান। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।