নিজদের নির্মাণবর্জ্য গাজায় এনে ফেলছে ইসরায়েলি বাহিনী: রিপোর্ট


নিজদের নির্মাণবর্জ্য গাজায় এনে ফেলছে ইসরায়েলি বাহিনী: রিপোর্ট

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী বিপুল পরিমাণ নির্মাণবর্জ্য ও ধ্বংসাবশেষ গাজায় ফেলে দিচ্ছে বলে নতুন অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) আল জাজিরার এক সরাসরি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ প্রাপ্ত একাধিক ভিডিওতে এসব বর্জ্য ফেলার চিত্র স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কিসুফিম ক্রসিংয়ের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে ট্রাকগুলো ইসরায়েল ত্যাগ করে গাজার ভেতরে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ মিটার প্রবেশ করছে। সেখানে নির্মাণবর্জ্য নামিয়ে দিয়ে খালি ট্রাকগুলো আবার ইসরায়েলে ফিরে যাচ্ছে।

হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই ট্রাকগুলো নিয়মিতভাবেই এমন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমটির সঙ্গে কথা বলা এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, “গাজার ভেতরে বর্জ্য ফেলার সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ের কমান্ডারদের।” অন্য এক কর্মকর্তা জানান, “ইসরায়েলি বেসরকারি কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রাকগুলোকে সেনাবাহিনী থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা গাজায় প্রবেশ করে তাদের মালামাল ফেলে আসে।”

৬ কোটি টন ধ্বংসস্তূপে চাপা গাজা

দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর অবরুদ্ধ গাজা এখন প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অঞ্চলের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং পুরো এলাকা এখন প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষে ঢেকে আছে।

ইউএনইপির বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, যুদ্ধের প্রথম পাঁচ মাসেই গাজার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়। পরবর্তীতে যুদ্ধবিরতির আগের মাসগুলোতেও ভবন ধ্বংসের হার দ্রুত বেড়েছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে শুধু রাফাহ ও খান ইউনিসের দক্ষিণাঞ্চলেই ৮০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রায় ২.৯ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ “পরিচিত শিল্প এলাকার বিপজ্জনক বর্জ্যের” মাধ্যমে দূষিত হতে পারে।
জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টার প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ভবন ধ্বংস করেছে, যা যুদ্ধ শুরুর আগের মোট স্থাপনার প্রায় ৭৮ শতাংশ।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×