আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হলেন ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলা ক্যাথরিন
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:০১ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানকে ‘গণহত্যা’ এবং ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে সমালোচনা করে আলোচনায় আসা স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যাথরিন কনলি এখন আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট।
রোববার (২৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন এবং আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নথিভুক্ত হন। নির্বাচনে কনলি ৬৩ শতাংশ ভোট পান, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ফিনে গেল দলের হিদার হামফ্রেস পেয়েছেন ২৯ শতাংশ ভোট। নির্বাচনে তাকে উগ্র বামপন্থি দলগুলো সমর্থন করেছিল।
বিজয়ী হওয়ার পর কনলি তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমি শান্তি ও নিরপেক্ষতার বাণী প্রচার করতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্বে বিভিন্ন হুমকির বিষয়েও কথা বলতে চাই।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমি সবার কথা শুনব এবং সেই অনুযায়ী কাজ করব। প্রয়োজনের সময় সরব থাকব এবং সবাই মিলে একটি নতুন দেশ গড়ব যেখানে সবার মূল্যবোধ সম্মান পাবে।"
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিহল মার্টিন বলেছেন, জনগণ কনলিকে 'বিশেষ সম্মান' দিয়েছে। উপ-প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিসও বলেন, "আমরা সবাই এই বিজয়ী নেতার পাশে আছি।" প্রধান বিরোধীদল সিন ফেইনও কনলির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে। দলের সভাপতি মেরি ম্যাকডোনাল্ড এই বিজয়কে 'অভাবনীয়' হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি বিরোধীদের জন্যও একটি বিজয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কনলি ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থি আয়ারল্যান্ডে দাঁড়িয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করেছেন। তার সমর্থকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামরিক খরচ বৃদ্ধি এবং গাজা সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের ভূমিকার বিরোধিতা করেন।
গত জুনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কনলি ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, "আমরা যদি এখনই ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা না করি, তাহলে ভয়ানক সমস্যা হবে।" এছাড়া তিনি ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলারও নিন্দা করেছেন।
সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কনলির ইসরায়েল বিরোধী মনোভাবকে যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার পার্টি প্রধান জেরেমি করবিনের সঙ্গে তুলনা করে তাকে ‘ডাবলিনের করবিন’ বা ‘আইরিশ জেরেমি করবিন’ হিসেবে অভিহিত করেন।