গাজায় যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হতে দিতে পারে না বিশ্ব: ইউনিসেফ কর্মকর্তা


গাজায় যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হতে দিতে পারে না বিশ্ব: ইউনিসেফ কর্মকর্তা

ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক এডুয়ার্ড বেগবেডার বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি শিশুদের নিরাপত্তা, বেঁচে থাকা এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সুযোগ। তিনি সতর্ক করেছেন, বিশ্ব এই যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হতে দিতে পারবে না।

রোববার (২৬ অক্টোবর) আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বেগবেডার বলেন, “গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। আমি শিশুদের ওপর যে মাত্রার প্রভাব দেখেছি, তা কেবল শব্দ বা সংখ্যায় বোঝানো সম্ভব নয়। এটি এমন প্রভাব যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে থেকে যাবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা অপুষ্টি, রোগ এবং শীতকালীন ঠাণ্ডার মতো প্রতিরোধযোগ্য হুমকি থেকে শিশুদের জীবন বাঁচাতে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি।”

বেগবেডার গাজার সব মানবিক সহায়তা ক্রসিং খোলার এবং ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রবেশের অনুমোদন দ্রুত করার আহ্বান জানান। বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন এমন শিশুদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরানোর জন্যও তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

গত ৯ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল ও হামাস একটি শান্তি পরিকল্পনার চুক্তিতে পৌঁছেছে। প্রথম পর্যায়ে সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ইসরায়েলি সেনাদের নির্দিষ্ট লাইনের বাইরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

তবে গাজার মৃতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।

এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণের উদ্যোগ শুরু করে। তবে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানো হয়, যার ফলে শত শত মানুষ নিহত হয় এবং দুর্ভিক্ষের কারণে শিশু সহ বহু মানুষের মৃত্যু ঘটে।

গত বছরের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজার যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এভাবে, গাজার সংঘর্ষ ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×