গাজায় সৈন্য পাঠাবে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও আজারবাইজান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:৫৭ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

গাজা উপত্যকায় টেকসই যুদ্ধবিরতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে গঠনের প্রস্তাব থাকা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনীতে অংশ নিতে পারে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও আজারবাইজান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকো এমনটাই জানিয়েছে তাদের এক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে এক বর্তমান ও এক সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, গাজায় সম্ভাব্য শান্তিরক্ষী মোতায়েন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে এবং এই তিনটি দেশকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো দেশ তাদের সম্মতি জানায়নি।
তবে এখন পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়াই একমাত্র দেশ যারা প্রকাশ্যে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, জাতিসংঘের অনুমোদন থাকলে তারা প্রয়োজনে ২০ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন, তাতে জাতিসংঘের কোনো সরাসরি ম্যান্ডেটের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই।
পলিটিকোর তথ্য অনুসারে, গাজায় শান্তি রক্ষায় মোতায়েন হতে যাওয়া এই বাহিনীর মূল দায়িত্ব হতে পারে যুদ্ধ থামিয়ে রাখা, ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা এবং পরিস্থিতির ওপর পর্যবেক্ষণ রাখা। যদিও এসব দায়িত্ব চূড়ান্তভাবে কী হবে, সে বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এতে আরও জানানো হয়, কাতার, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারা ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ একটি ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, "হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে; ইচ্ছাকৃত বা বাধ্যকরভাবে।"
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীর জন্য একটি স্পষ্ট ও কার্যকর ম্যান্ডেট নির্ধারণ এবং কোন কোন দেশ এতে অংশ নেবে, তা দ্রুত নিশ্চিত করা।
এই প্রসঙ্গে সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ড্যানিয়েল শাপিরো পলিটিকোকে বলেন, "গতি দেখানো এবং অংশগ্রহণকারী দেশ ও ম্যান্ডেট চূড়ান্ত করা রাস্তাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।"
দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল এখন এই বিরতিকে দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতে একটি সমন্বিত নিরাপত্তা কাঠামো গঠনের বিষয়ে জোর দিচ্ছে। কোন দেশ কীভাবে এতে অংশ নেবে, এবং তাদের ভূমিকাই বা কী হবে; এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়, তবে আলোচনা চলছে জোরেশোরেই।