জিম্মিদের মুক্তির পর হামাসকে ধ্বংস করতেই হবে: ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী


জিম্মিদের মুক্তির পর হামাসকে ধ্বংস করতেই হবে: ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী

জিম্মিদের মুক্তির পর হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের লড়াই থামবে না - এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন দেশটির কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ। তার এই মন্তব্যে নতুন করে অনিশ্চয়তায় পড়েছে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সদ্য স্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ।

বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্মোত্রিচ জানান, “জিম্মিরা যখন দেশে ফিরবে, তখনই ইসরায়েল সব শক্তি নিয়ে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও নির্মূলের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যাতে তারা আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয়ে দাঁড়ায়।”

তিনি বলেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে করা কোনো চুক্তির পক্ষে তিনি ভোট দেবেন না। যদিও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে সমর্থন প্রত্যাহার বা সরকার ফেলার হুমকি দেননি।

নিজের পোস্টে স্মোত্রিচ আরও সতর্ক করে বলেন, “আমরা যেন ৭ অক্টোবরের আগের ভুল ধারণার কাছে ফিরে না যাই। আমরা যেন এমন কিছু না করি, যাতে নিজেদের ভবিষ্যৎ বন্ধক রেখে ভয়াবহ মূল্য পরিশোধ করতে হয়।”

এর আগে বুধবার, ৮ অক্টোবর, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা করেন যে হামাস ও ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক ধাপে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন জিম্মির মুক্তির কথা রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাল্টাপাল্টি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইসরায়েলও বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দিতে পারে।

চুক্তির বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবারই ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবনায় অনুমোদন দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু ইতোমধ্যে ট্রাম্পকে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এখন পর্যন্ত ৪৭ জন এখনও বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ওই হামলার জবাবে গাজায় লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, যা অনেকেই গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরায়েলের হামলায় সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৭ হাজার ১৭৩ জন, যাদের মধ্যে ২০ হাজার ১৭৯ জন শিশু।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×