সাত কলেজ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপ: শিক্ষা উপদেষ্টা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:১৮ এম, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির অভিযোগ করেছেন শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। তিনি বলেছেন, এই পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত নয় এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীনসহ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আবরার বলেন, “সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তবে এ নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে, যেটি মোটেই ঠিক নয়। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। আমরা অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করব।”
তিনি জানান, বাস্তব চাহিদা থেকেই সাত কলেজ নিয়ে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পাবে এবং নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ নিশ্চিত করা হবে।
শিক্ষকদের বাড়িভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার সংবেদনশীল উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, "শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকার শ্রদ্ধাশীল ও সংবেদনশীল। সরকার সামর্থ্য অনুযায়ী শতাংশভিত্তিক বাড়ি ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী বছর আরও সম্মানজনক একটি কাঠামোর দিকে এগোনোর সুযোগ তৈরি হবে।”
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে মতামত জানাতে গিয়ে ড. আবরার বলেন, ফল এমন হতে হবে যা শিক্ষার্থীর প্রকৃত শেখাকে মূল্যায়ন করে। তিনি বলেন, "যে ফল শিক্ষার্থীর শেখাকে সত্যিকারের মূল্যায়ন করে, সেটি হোক আমাদের সাফল্যের মানদণ্ড। এসএসসির ফল প্রকাশের পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে যে উদ্বেগ উঠেছিল, আমি তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছি। আমরা সব শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছি যেন ভবিষ্যৎ পরীক্ষায়, বিশেষ করে এইচএসসি মূল্যায়নে সীমান্তরেখায় থাকা শিক্ষার্থীদের প্রতি সর্বোচ্চ ন্যায্যতা বজায় রাখা হয়। কিন্তু একই সঙ্গে যেন ফলাফলের বাস্তবতা বিকৃত না হয়।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা খাতে তিনটি মূলনীতি সামনে রেখে এগোতে চান তারা। প্রথমত, বাস্তবতাকে উপেক্ষা না করে তাকে বোঝা; দ্বিতীয়ত, দোষারোপ না করে সমাধানের পথ খোঁজা; তৃতীয়ত, সংখ্যার চেয়ে শেখার মানকে সাফল্যের মানদণ্ড ধরা। “এবারের ফল আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। হয়তো এটি কষ্টের, কিন্তু সত্যের পথে ফেরার সূচনা,” বলেন তিনি।
শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীন জানান, শিক্ষকরা যে বাড়িভাড়ার দাবি তুলেছেন, সেটি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিমুহূর্তে কাজ করছি। যদিও অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। আলোচনায় বসলে সমাধান আসবে। শতাংশভিত্তিক ব্যবস্থা ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ। কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল হবে। তখন এটির একটি ইতিবাচক প্রভাব থাকবে। আমরা চেষ্টা করছি, এই প্রচেষ্টায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”