জাপানে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তাকাইচি
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৩৬ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

জাপান আগামী দিনে ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। দেশটির শাসক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) শনিবার সানা তাকাইচিকে দলীয় প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছে, যা তাকে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে দিয়েছে।
৬৪ বছর বয়সী রক্ষণশীল ও জাতীয়তাবাদী এই নেত্রীকে বেছে নেওয়ার পেছনে রয়েছে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ ও হতাশা দূর করার কৌশল। বিরোধী দলগুলো অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান ও বিদেশি অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাকাইচির নির্বাচনে এলডিপির নেতৃত্বে পরিবর্তনের বার্তা স্পষ্ট।
আগামী ১৫ অক্টোবর সংসদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে তাকাইচি সম্ভাব্যভাবে বর্তমান নেতা শিগেরু ইশিবারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। তবে ফল এখনও অনিশ্চিত, কারণ গত বছর ইশিবার শাসনামলে এলডিপি এবং তার জোট সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
বর্তমানে জাপানের রাজনৈতিক মঞ্চে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ফর দ্য পিপল এবং অভিবাসন-বিরোধী সানসেইতো সহ বেশ কয়েকটি দল এলডিপির জনপ্রিয়তা ক্ষয়ের মূল হোতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রভাব তরুণ ভোটারদের পার্টি থেকে বিচ্যুত করছে।
তাকাইচি দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটের আগে দেওয়া এক বক্তৃতায় বলেন, “সম্প্রতি আমি দেশজুড়ে কঠোর কণ্ঠস্বর শুনেছি যে, আমরা জানি না এলডিপি আমাদের জন্য কী করছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই জরুরি অবস্থার অনুভূতি আমাকে তাড়িত করেছে। আমি তাদের দৈনন্দিন জীবন এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মানুষের উদ্বেগকে আশায় পরিণত করতে চেয়েছি।”
নিজেকে ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের আদর্শ অনুসরণকারী হিসেবে উল্লেখ করা তাকাইচি আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও সক্রিয় ভূমিকা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আগে হওয়া একটি বিনিয়োগ চুক্তি পুনরায় কার্যকর করার সম্ভাবনা উঁচিয়ে ধরেছেন। ওই চুক্তি জাপানি করদাতাদের অর্থে বিনিয়োগের বিপরীতে মার্কিন শুল্ক কমানোর ব্যবস্থা করেছিল।
তাকাইচির সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হওয়া শুধু জাপানের রাজনীতিতে নয়, গোটা বিশ্বের জন্যও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন অপেক্ষা ১৫ অক্টোবরের ভোটের, যা নিশ্চিত করবে ইতিহাস রচনার এই যাত্রা সত্যি হতে চলেছে কিনা।
সূত্র: রয়টার্স