জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যাকাণ্ড: খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানা ঘেরাও


জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যাকাণ্ড: খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানা ঘেরাও

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদের হত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরান ঢাকা। রবিবার দিনগত রাতে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে হাজারো শিক্ষার্থী।

রাত ১২টার কিছু পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বংশাল থানার সামনের সড়কে অবস্থান নেন। আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন, “আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে”, “রাস্তাঘাটে ছাত্র মরে, প্রশাসন কি করে?” এমন নানা কথায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন বলেন, “আজ রাতের মধ্যেই খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে কাল থেকে ঢাকা অচল করে দেওয়া হবে।”

জানা গেছে, ঘটনার আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টিউশনির বাসার সিঁড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন জুবায়েদ। খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে দেরি হয়নি। এক ঘণ্টার মধ্যেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। বিকেল গড়াতেই পুলিশ এসে ঘিরে ফেলে ঘটনাস্থল। পরবর্তী সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে পিবিআই ও পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত চালিয়ে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে।

রাত ১১টা ১০ মিনিটে বংশালের নূর বক্স রোডের রৌশান ভিলা থেকে জুবায়েদের বান্ধবী বর্ষাকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, “প্রাথমিকভাবে ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বাড়ির অন্য সদস্যদেরও হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ইতোমধ্যে আমরা দুইজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আটকের জন্য আমাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকেও আটক করতে সক্ষম হবো। এখন এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×