ইসরায়েলের সব কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৩৭ এম, ০২ অক্টোবর ২০২৫

গাজামুখী একটি বেসরকারি নৌবহরে ইসরায়েলি হামলা ও কর্মীদের আটকের জেরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কলম্বিয়া। জলসীমায় এই অভিযানের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ইসরায়েলের সব কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও বাতিল করেছেন।
ইসরায়েলি বাহিনী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের ওই মানবিক সহায়তা বহনকারী বহরটিকে গাজার উদ্দেশে যাত্রার সময় থামিয়ে দেয়, তল্লাশি চালায় এবং সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সুপরিচিত সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছেন।
এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করে প্রেসিডেন্ট পেত্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে কলম্বিয়ার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তিনি বাতিল করেছেন এবং এই অভিযানকে তিনি “নতুন একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ” বলে আখ্যায়িত করেছেন, যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
পেত্রো আরও বলেন, “এখানেই নেতানিয়াহু তার বিশ্বব্যাপী ভণ্ডামি দেখালেন এবং কেন তিনি একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী—যাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা উচিত, তা প্রমাণ করলেন।”
তিনি জানান, কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এই অভিযানের আগে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি অধিকারে বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেস্কা আলবানিজে এবং প্রেসিডেন্ট পেত্রো উভয়েই ফ্লোটিলাকে বাধাহীনভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনের মানবাধিকার সংগঠন ‘আদালাহ’-এর পরিচালক হাসান জাবারিন মন্তব্য করেন, ইসরায়েল যা করেছে তা “গ্রেপ্তার নয়, বরং অপহরণ।” তিনি জানান, ফ্লোটিলার সদস্যদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে, অথবা আদালতে হাজির করা হতে পারে।