ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৫২ এম, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার অভিযোগসহ তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারক প্যানেলে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এর আগে ১৪ অক্টোবর শুনানির তারিখ নির্ধারিত থাকলেও ইনুর আইনজীবী নাজনীন নাহার সময়ের আবেদন করেন। তিনি আদালতকে জানান, মামলার ১৭০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং প্রিভিলেজ কমিউনিকেশনের জন্য আট সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। পরে ট্রাইব্যুনাল আসামির সঙ্গে তিন দিন দুই ঘণ্টা করে সাক্ষাতের অনুমতি দেন এবং নতুন করে আজকের দিন নির্ধারণ করেন অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য।
২৯ সেপ্টেম্বর ইনুকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেদিন কারাগার থেকে আনা হলে প্রসিকিউশন অভিযোগের শুনানির জন্য এক সপ্তাহ সময় চায়। অপরদিকে, নাজনীন নাহার আরও দুদিন অতিরিক্ত সময়ের অনুরোধ করেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শেষে ট্রাইব্যুনাল ১৪ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করে।
এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রসিকিউশন ইনুর বিরুদ্ধে আটটি নির্দিষ্ট অভিযোগসহ ফরমাল চার্জ জমা দেয়। অভিযোগগুলোতে জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় সহযোগিতা ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়। শুনানির পর আদালত অভিযোগগুলো গ্রহণ করে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন।
গত বছরের ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে পুলিশ হাসানুল হক ইনুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় ইনু তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কুষ্টিয়ায় জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনার পর ইনুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়। তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর তার ভিত্তিতেই প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।