১৫ বছরের কর্মকর্তারা ১৫ মাসে পরিবর্তন হবে না: মঈন খান


১৫ বছরের কর্মকর্তারা ১৫ মাসে পরিবর্তন হবে না: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান দাবি করেছেন, গত ১৫ বছরে দেশে প্রশাসন জোরপূর্বক দলীয়করণের শিকার হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও স্কুল শিক্ষকদের ব্যাপক অংশ সরকারের চাপের মুখে অন্যায়ের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা, স্কুল শিক্ষক আছেন, তাদের ছুড়ে দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়। অনেকে সরকারের চাপে অন্যায় করতে বাধ্য হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর মঈন খান এসব কথা বলেন। তিনি নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “বিগত তিনটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। কাদের দ্বারা হয়েছিল? যারা প্রশাসনে থেকে রাজনৈতিক ভূমিকা রেখেছিল। ১৫ বছরের কর্মকর্তারা ১৫ মাসে পরিবর্তন হবে না।” তিনি নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে বলেন, বিতর্কিত কর্মকর্তাদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে হবে।

মঈন খান আরও তুলে ধরেন সাধারণ নির্বাচনকে “এক দিনে বিরাট কর্মযজ্ঞ” হিসেবে। তিনি জানান, দেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় মোট ৪২ হাজার কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার জন্য প্রায় ১০ লাখ লোকের প্রয়োজন, যারা সিভিল, পুলিশ ও বিচার বিভাগ থেকে আসেন। তবে তার দাবি, গত ১৫ বছরে প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “সাংবাদিক তাদের কাজ করবে। তারা যেন বিনা বাঁধায় কাজ করতে পারেন। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।” দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও জনতার অংশগ্রহনে এই অবস্থানে পৌঁছানোর কথা উল্লেখ করে মঈন খান নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানান, “তারা যেন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কমিশনের দায়িত্ব।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×