আরও কিছু দিন বিসিবিতে সভাপতি থাকছেন ফারুক আহমেদ
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৪৬ পিএম, ২৯ মে ২০২৫

গতকাল রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা ফারুককে জানান, সরকার আর বিসিবি সভাপতি পদে তাকে রাখতে চাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য দুই-একদিন সময় নিয়েছিলেন ফারুক।
তবে পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফারুক। দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি পদত্যাগ করবো না। আমাকে বলা হয়েছে, সরকার নাকি আমাকে আর বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাখতে চাচ্ছে না। কিন্তু কেন রাখতে চাচ্ছে না সেটার কোনো কারণ তারা আমাকে বলেনি। বিনা কারণে তো আমি পদত্যাগ করতে পারি না।’
ফারুকের এমন সিদ্ধান্ত বিসিবির কার্যক্রমে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটা কঠোর অবস্থানই হবে বলে মনে করছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় দলের এক সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে এভাবে ছেলেখেলা খেলতে দেওয়া যায় না। ইচ্ছে হলো একজনকে সভাপতি করলাম, ইচ্ছে হলো কোনো কারণ ছাড়াই তাকে সরিয়ে দিলাম, এ রকম হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশ্নবিদ্ধ হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।’
এ দিকে গুঞ্জন রয়েছে ফারুককে সরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বিসিবি সভাপতি করতে চায় সরকার। বিসিবির সভাপতি হওয়া প্রসঙ্গে আমিনুল বলেন, ‘আমাকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে এখনো বলা হয়নি। ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে গতকালের সভায়ও আমি ছিলাম না। তবে ১০-১৫ দিন আগে আমার সঙ্গে উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা আমাকে কোনো একটা ভূমিকায় কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে চাচ্ছেন। আমিও তাতে রাজি হয়েছি।’
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর থেকে বিসিবিতে আসে নতুন নেতৃত্ব। ফারুক এনএসসির কাউন্সিলর হিসেবে বিসিবির পরিচালক হন। এরপর ২১ আগস্ট পরিচালকদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন।
এনএসসির কোটায় আসায় এই বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ বেশি রয়েছে। যদি ফারুক নির্বাচিত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতেন, তাহলে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সরানো এত সহজ হতো না। তবে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পড়ায় সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের।