আমার জানামতে, মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন: আসিফ মাহমুদ


আমার জানামতে, মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন: আসিফ মাহমুদ

দলীয় পতনের পর আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী আত্মগোপনে বা দেশত্যাগে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রভাবশালী নেতারা একে একে আড়ালে চলে যান। এমন প্রেক্ষাপটে আলোচনায় এসেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।

আওয়ামী লীগের সাবেক হুইপ মাশরাফি এখনো দেশে অবস্থান করছেন, তবে তিনি প্রকাশ্যে নেই। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস মাশরাফি আগের রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন।

সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসানের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা চলাকালে মাশরাফির প্রসঙ্গও উঠে আসে। সাকিবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি, যার মধ্যে রয়েছে শেয়ার বাজার সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা, এমনকি তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগও।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত সাকিব আল হাসানের বিষয়গুলো কীভাবে আসল? শেয়ার মার্কেটে কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলা হলো, তারপর আরও কিছু ফিন্যানশিয়াল ফ্রড নিয়ে দুদকের মামলা চলছে, তারপর তার বাবা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ভিডিও সামনে এসেছে, তার পরিবারের বিরুদ্ধেও সম্ভবত হত্যামামলা আছে। তো এগুলোর কারণে সামনে এসেছে বিষয়টা, এমন না যে আমরা পিক আপ করে নিয়ে এসেছি। আদার অ্যাক্টিভিটিস যেগুলোর কারণে বিষয়টা সামনে চলে এসেছে। এরপর ওনার শেখ হাসিনাকে এনডোর্স করার দিক দিয়ে এটা আবার আলোচিত হয়েছে।’

এই আলোচনার মাঝেই মাশরাফির বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজার বিষয়ে এমন কিছু আছে কি না, এমন আমার জানা নেই বা আমার চোখে পড়েনি। আমার জানামতে উনি ওনার যে রাজনৈতিক অবস্থান ছিল সেটা থেকেও আবার সরে এসেছেন, ফেসবুকে উনি স্পষ্ট করেছেন বলে আমার মনে পড়ে।’

তবে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাশরাফি ফেসবুকে নয়, গত বছরের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!’ তার কথায় রাজনীতি করার বিষয়টি ছিল অতীতকালেই।

গত এক বছরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কার্যক্রমও এই অবস্থানের প্রতিফলন ঘটায়। ফেসবুকে তিনি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ১৪টি পোস্ট দিলেও, কোনোটিই আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট নয়। অন্যদিকে সাকিব একাধিকবার আওয়ামী লীগ ও অনলাইন গেমিং ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত পোস্ট দিয়েছেন।

তবে মাশরাফির বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের প্রমাণ মিললে তাকেও আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এর বাইরে যদি উনি রাষ্ট্রীয় আইনে তিনি কিছু করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতেই পারে। ওনার বিষয়টা আলোচনায় নেই, কারণ উনি তো অবসর নিয়েছেন অনেক আগে। খেলার সাথে, সংশ্লিষ্ট জিনিসের সাথে তিনি আর ইনভলভ হন নাই। যে কারণে সেভাবে আলোচনায় আসেনাই। বাকিদেরটা যেভাবে রেলেভেন্ট ছিল, তারটা সেভাবে রেলেভেন্ট ছিল না আরকি।’

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×