
নৌবিহারে সভা করল বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কাতার
পারস্য উপসাগরের দেশে কাতারে বসবাসরত প্রবাসী সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কাতার’ তাদের নতুন নির্বাচিত কমিটির পরিচিত সভা করেছে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে দেশটির রাজধানী দোহার আল কার্নিশ সাগরে নৌবিহারে এ সভা করেন তারা। কমিটির সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শামীমের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অফ মিশন মো. ওয়ালিউর রহমান, সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম খায়ের উদ্দিন, কাউন্সেলর মোবাশ্বেরা কাদেরী, শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর, শ্রম কাউন্সেলর তন্ময় ইসলাম, কাউন্সেলর ভিসা ও পাসপোর্ট মো. মাহাদি হাসান, প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. নাছির উদ্দীন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কাতারের কান্ট্রি ম্যানেজার কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মীরা শত সীমাবদ্ধতা থাকার পরও প্রবাসীদের সুখ-দুঃখের খবর দেশে ও প্রবাসে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। দূতাবাস ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সংবাদ পরিবেশনে তারাই একমাত্র ভরসা।’ কাজী মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ অনেকটা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত, তবে তারা বাংলাদেশিদের খবর দেশে পৌঁছে দিচ্ছেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। নিজেদের কাজের পাশাপাশি কমিউনিটিতে সংবাদসেবা দিতে পেরে খুশি তারা।’ নৌবিহারে গান শোনান স্থানীয় বাংলাদেশি কণ্ঠশিল্পী শাহ আলম মাইজভান্ডারী, ফৌজিয়া রহমান ও নয়ন সূত্রধর।

৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে গ্রিস
কর্মী সংকট মোকাবিলায় চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার কর্মী নেবে ইউরোপের দেশ গ্রিস। দু’দেশের মধ্যে পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী এ সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশিরা। চলতি বছর কৃষি, নির্মাণ ও পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে এ বছর ৮৯ হাজার ২৯০ জন বিদেশি শ্রমিক নেবে দেশটি। সম্প্রতি তৃতীয় দেশ থেকে অভিবাসী কর্মী আনার জন্য একটি গেজেট পাস করেছে গ্রিক মন্ত্রিসভা। প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, ৪৫ হাজার ৬৭০ জন সিজনাল ভিসায়, ২ হাজার জন উচ্চ দক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য এবং ৪১ হাজার ৬৭০ জন স্পন্সর ভিসার আওতায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। ওই গেজেট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় তিন লাখ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি শ্রমিক সংকটের মুখে কৃষি সেক্টর। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক সংকটের মুখোমুখি কৃষি খাতের মালিকরা। নতুন গেজেট অনুসারে, আনা কর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ অদক্ষ কৃষি শ্রমিক, নির্মাণকর্মী ও কারখানার শ্রমিক হবেন। এছাড়া ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শেফ, স্পা থেরাপিস্ট, নির্মাণকর্মী ও ভারী যন্ত্রপাতি চালকের মতো পদে প্রচুর কর্মীর চাহিদা দেখা দিয়েছে গ্রিসে। গ্রিসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এবং মিশর থেকে আসবেন প্রায় ৯ হাজার কর্মী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায়, ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী কৃষি, বন, মৎস্য ও পর্যটন খাতে নিয়োগ পাবেন। তবে বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকায় ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভিসাপ্রত্যাশীদের।

পর্তুগালে সহিংসতায় জড়াল বিএনপির দুই পক্ষ, আহত সাত
পর্তুগালে বিএনপির এক নেতার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় জড়িয়েছে দলের দুই গ্রুপ, এতে আহত হয়েছেন সাতজন। রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে দেশটির লিসবনের রুয়া দো বেনফরমোসো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সংবাদ পুলিশের বরাত দিয়ে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। বিভিন্ন সংবাদে বলা হয়, ‘আহতরা লোহার রড ও লাঠির আঘাতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে সাও জোসে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’ অপর চারজন পুলিশের সদর দপ্তরে যান, সেখানে জাতীয় জরুরি চিকিৎসা পরিষেবার (আইএনইএম) মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি আব্দুস সালাম জানান, পর্তুগালের বেজা শহরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ সভাপতি কালাল আহমেদের জন্মদিনের দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত। উভয়পক্ষের ব্যক্তিগত সমস্যার জের ধরে এ হামলা।’ পুলিশের প্রথম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক ইউরি রদ্রিগেস জানান, একজন ভুক্তভোগী তার নিম্নাঙ্গে ছুরিকাহত হয়েছেন এবং আরেকজন তার পিঠের নিচের দিকে। দুইজনকেই ঘটনাস্থলে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে সাও জোসে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ এই ঘটনার বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটরকে জানিয়েছে এবং ঘটনাস্থল ও এর আশপাশে পুলিশি টহল বাড়িয়েছে। এ ঘটনায় পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশিদের বসবাসের এলাকা রুয়া দো বেনফরমোসোতে পর্তুগিজ টেলিভিশন চ্যানেল, সাংবাদিক ও পুলিশের উপস্থিতি বেড়েছে। এ ব্যাপারে কমিউনিটির নেতা রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশিদের দুই পক্ষের এ ধরনের হামলা দুঃখজনক, পর্তুগালের আরেকটি শহর থেকে এসে বাংলাদেশি পাড়ায় সন্ত্রাসীরা এ হামলায় চালায়।’ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তথ্য, ঘটনা রেকর্ড ও নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ইউরি রদ্রিগেস। দলীয় সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে পর্তুগাল বিএনপির সদস্য সচিব ছায়েফ আহমেদ সুইট বলেন, ‘বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীদের ছাড় নেই। যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত কেউই পর্তুগাল বিএনপির পদে থাকতে বা আসতে পারবেন না।’
.jpg)
ফেলানী দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনের ১৪তম মৃত্যু দিবস ছিল ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)। ১৫ বছর বয়সী ফেলানী ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ফেলানীর দেহ সীমান্তরেখা বরাবর কাটাতারের বেড়ায় চার ঘন্টা ধরে ঝুলে থাকলেও বিএসএফ তাকে উদ্ধার করেনি। দিনটি বাংলাদেশে ফেলানী দিবস হিসেবে পরিচিত ও পালিত হয়ে আসছে। ‘ফেলানী দিবস’ উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘প্যাট্রিয়টস অব বাংলাদেশ’ বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে। ওই কর্মসূচিতে বিএসএপের নির্বিচারে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করার তীব্র নিন্দা ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের রাস্তার নামটির নাম ‘ফেলানী সড়ক’ করার দাবী জানানো হয়।এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে দেয়া হয়। কন্যুলেটের পক্ষ থেকে মিনিস্টার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান স্মারকলিপিটি নেন এবং তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছে দেওয়া হবে বলে জানান।মানববন্ধনে কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আবদুস সবুর, ‘প্যাট্রিয়টস অব বাংলাদেশ’-এর প্রধান সমন্ময়কারী আবদুল কাদের, সদস্য জুয়েল জাকির, সাংবাদিক চৌধুরী মোহাম্মদ কাজল, মুশফিকুর রহমান, মোহাম্মদ তারিফ ও রাসেল খান বক্তব্য দেন। সমাবেশে আবদুল কাদের বলেন, ‘ভারত যদিও আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু ভারতীয়রা যেভাবে সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে, এটা সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ হতে পারে না। এটা মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা আশা করব, ভারত সরকার বিএসএফ-কে সংযত হতে নির্দেশ দেবে।’তিনি আরো বলেন ‘এত দিন ভারতের তাবেদার ‘আওয়ামী লীগ সরকার’ ফেলানী হত্যার বিচার দাবী করেনি। এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের সরকার জোরালো ভাষায় ফেলানী হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করবে বলে আমরা আশা করছি।’ আবদুস সবুর বলেন, ‘ফেলানীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটা নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী অপরাধ।’ ফেলানী হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করে তিনি বলেন, ‘ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাকে চার ঘন্টা কাটাতারের ওপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তখন তার শরীর থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছিল। বিএসএফ তাকে উদ্ধার করেনি। মৃত্যুর ১৪ বছর পরও ফেলানী হত্যার বিচার হয়নি।’ জুয়েল জাকির বলেন, ‘বিএসএফ-কে আরও সংযত ও মানবিক হতে হবে। এটা কোন সভ্য বাহিনীর আচরণ হতে পারেনা। একটি ১৫ বছরের কিশোরী নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। কিন্তু বিচার পায়নি। আমরা ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তাটির নাম ফেলানীর নামে নামকরনের দাবী জানাচ্ছি। এই রাস্তাটির নাম হোক ‘ফেলানী সড়ক’ বা ‘ফেলানী স্ট্রিট’। তাহলে হয়ত তার পরিবার কিছুটা শান্তনা পাবে। বাংলাদেশী হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকে আমরা দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ এই দাবী জানাচ্ছি।’সমাবেশ শেষে চৌধুরী মোহাম্মদ কাজল সংগঠনের পক্ষ থেকে দূতাবাস কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এ সময় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সিলর ইশরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশি ‘ক্রীড়াবিদদের’ মালয়েশিয়া প্রবেশে কড়াকড়ি
বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদরা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অজুহাতে মালয়েশিয়ায় এসে দীর্ঘ মেয়াদী কাজ করার সন্ধান পেয়েছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। এর ফলে, এখন থেকে বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া মালয়েশিয়ার প্রবেশের অনুমতি দেবে না দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। রোববার (১২ জানুয়ারি) স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের মালয়েশিয়ায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অজুহাতে আনা হলেও পরবর্তী তারা দেশ ফেরত না গিয়ে এখানে দীর্ঘ মেয়াদী কাজ খোঁজার চেষ্টা করছেন। যার ফলে, এখন থেকে বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেবে না মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ।’গত বছরের অক্টোবরে এই চক্রটি ২১-৩৩ বছর বয়সি ১৮ জন ক্রীড়াবিদ নিয়ে এসেছিল। পরে, তাদের কুয়ালালামপুরের মালুরিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। সে সময় তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র জব্দ করা হয়।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘অভিবাসন বিভাগ সিন্ডিকেট চক্রের সন্দেহভাজন আরও তিনজন বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করেছে, সেসময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়।তাদের গ্রেফতারের দুই দিন পর বিভাগটি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে আরও ২০ জন বাংলাদেশিকে আনার আরেকটি চেষ্টা বন্ধ করে দিয়ে তাদের নোট-টু-ল্যান্ড নোটিশ জারি করার মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক একই পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় ঢুকেছে, যেটি কথিতভাবে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।তদন্তে আরও দেখা গেছে, বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদরা মালয়েশিয়ায় বৈধকরণ প্রক্রিয়া ‘রিক্যালিব্রেশন ২.০’ প্রোগ্রামের জন্য নাম নিবন্ধন করেছিল, যদিও তাদের আবেদনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে অভিবাসন বিভাগ।বিভাগটি আরও জানায়, এই ধরনের প্রচেষ্টা বন্ধ করতে অভিবাসন বিভাগ বাংলাদেশ থেকে আসা ক্রীড়াবিদদের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও কঠোর করবে। ইভেন্টগুলোর জন্য যেসব নথিপত্র দেয়া হয়, সেগুলো বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে পরীক্ষা করা হবে।

জামায়াত দায়িত্ব পেলে ধর্ম ও দল দেখব না: শফিকুর রহমান
দেশের রাজনীতিবিদদের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদরা আগের মত পাগলামি ও বোকামি করলে আগামীর প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমরা মালিক নয় জাতির খাদেম হব। কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে কোন দলের ও ধর্মের আমরা তা দেখব না। আমরা দেখব সে বাংলাদেশি কি না।’ কুয়েত সফরে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আরদিয়া সানাইয়া এলাকায় কুয়েতে বাংলাদেশ কোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করব, তারা তাদের দেশকে যেমন পছন্দ করে, তেমনি আমাদেরও যেন আমাদের দেশ পছন্দ করার সুযোগ দেয়। তবে হ্যাঁ, আমরা সবার ভালবাসা ও বন্ধুত্ব চাই। যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে আমরা তাদের বুকে জড়িয়ে নেব। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যারা সহযোগিতা করবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা জানাব।’ তিনি বলেন, ‘৫৩ বছর যারাই দেশ চালিয়েছে, তারা জাতিকে সম্মান করতে পারেনি। তারা যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে, সেবকের পরিবর্তে অনেকেই মালিক হয়ে বসেছিল।’ প্রবাসীদের অভিযোগ ও অভিমত শুনে জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমি যে দেশেই যাচ্ছি, সে দেশে কষ্টের হাহাকার শুনতে পাচ্ছি। আমরা সময়মত পাসপোর্ট পাই না। সময়মত পেতে হলে বাড়তি খরচ করতে হয়, করুণার পাত্র হয়ে কাজ একে দিতে হয়, ওকে দিতে হয়। আবার কেউ মারা গেলে লাশটা সহজে দেশে নেওয়া যায় না। অনেক কান্নাকাটি করতে হয়। এদিক-ওদিক দৌড়াতে হয়। বিমান টিকিটের দাম দ্বিগুণ থেকে আড়াই গুণ করে ফেলা হয়। এটা জুলুম।’ ‘অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন, ন্যায্য পাওনা পান না। সরকার ও অ্যাম্বাসি তাদের পাশে দাঁড়ায় না। তাহলে অ্যাম্বাসি এখানে কেন? অ্যাম্বাসি হচ্ছে সরকারের প্রতিনিধি। অ্যাম্বাসি যদি প্রবাসীদের বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট সমস্যা না দেখে তাহলে এখানে দরকার নেই। অ্যাম্বাসির দায়িত্ব হল প্রবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে বাধাগ্রস্ত হলে এ দেশের সরকারকে বুঝিয়ে সেটা আদায় করা।’ এ সময় প্রত্যেক প্রবাসীকে স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলতে অনুরোধ করেন জামায়াতের আমির। প্রসঙ্গত, কুয়েতের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে দেশটি সফরে যান শফিকুর রহমান। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে কুয়েত এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়েত বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামানের সাথে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
আওয়ামী লীগের নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে সম্প্রতি দেখা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। সংবাদ ফিনেন্সিয়াল টাইম। দুর্নীতি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিবাদকারীদের উপর দমন-পীড়নে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও দলটির একজন সিনিয়র সদস্যের সঙ্গে দেখা করেছেন কিয়ার স্টারমার। গেল ডিসেম্বরে গ্লাসগোর ক্রাউন প্লাজা হোটেলে একটি ব্ল্যাক-টাই ডিনার ইভেন্টে সিলেটের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন স্টারমার। দুইজনের কথোপকথনের সময় তাদের ছবি তোলা হয়েছিল। স্টারমার আরেকটি ছবি তুলেছেন যেখানে তাকে লেবার পার্টির জন্য একটি অনুদান চেক নিতে দেখা যায়। এ সময় তার সঙ্গে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। পরে সাদিক খান সে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, গত মে মাসে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করা তার জন্য ‘সত্যিকারের সম্মানের বিষয়’ ছিল। এটি ছিল লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের আগে। সেই সাক্ষাতের সময়, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খানের জন্য প্রচারণার কাজ করছিলেন।’ এই ব্যাপারে আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে তার মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমটির অনুরোধে সাড়া দেননি। মূলত এই সাক্ষাতের পেছনে ছিল ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা ও নির্বাচনী সমর্থন জোগাড়ের লক্ষ্যে লেবার পার্টি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কয়েক দশকের সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। ব্রিটেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসনে প্রভাব ফেলতে বাংলাদেশি ভোটারদের ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আওয়ামী লীগ পরিবারের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং দলের সঙ্গে যুক্ত লেবার মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার ভাতিজি টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পর্ক, এই দীর্ঘ মেয়াদী বন্ধুত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে লেবার পার্টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছিল। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কর্মীরা সে সময় ব্রিটেন জুড়ে লেবারের প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন এবং টিউলিপ সিদ্দিকের প্রচার কার্যক্রমেও তাদের দেখা গেছে। ব্যাপারটি নিয়ে জানতে চাইলে সাভান্টা পোলস্টারের রাজনৈতিক গবেষণা পরিচালক ক্রিস হপকিন্সের জানান, লেবার পার্টি প্রবাসী ভোটারদের উপর তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর চেয়ে বেশি নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা লেবারকে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও জোট তৈরি করতে বাধ্য করে। হপকিন্স বলেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টারের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে এই বিষয়টি খুব একটা প্রাধান্য পেতে নাও পারে। তবে, সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক হোক বা ভুল, লেবারকে হয়ত দায়িত্বহীনতার জন্য দোষী করা হবে।’

কানাডায় নিখোঁজ বাংলাদেশি তরুণীর মরদেহ মিললো সাগর সৈকতে
কানাডায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশি তরুণী নিধুয়া মুক্তাদিরের মরদেহ অন্টারিও’র পোর্ট ব্রুস বিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৯ বছর বয়সী নিধুয়া ৩ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি টরন্টোর ফানশাওয়ে কলেজে নার্সিংয়ে পড়তেন। নিধুয়া তার মা লেখক ও উপস্থাপক সামিনা নাসরিন চৌধুরীর সঙ্গে স্কারবারোর ক্রিসেন্ট টাউনে থাকতেন। নিধুয়ার মৃত্যুর খবরে কানাডায় বাংলাদেশিদের মধ্যে শোক নেমে আসে।

কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ে এনআইডির নিবন্ধন বন্ধ
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় সার্ভারে কারিগরি ত্রুটির কারণে সোমবার (৬ জানুয়ারি) থেকে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এদিন কনস্যুলেট জেনারেল এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় সার্ভারে কারিগরি ত্রুটিজনিত কারণে ৬ জানুয়ারি ২০২৫ হতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হলে পুনরায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে । সেবা প্রার্থীদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দু:খ প্রকাশ করেছে কনস্যুলেট জেনারেল।

প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিল সৌদি সরকার
সৌদিতে প্রবাসীদের ব্যবসা করতে বড় বাধা ছিল দেশটির আইন। আইনের বলে প্রবাসীরা নিজেদের সম্পদ দিয়ে আসত সৌদি নাগরিকদের। আবার অসাধু কিছু সৌদি নাগরিক প্রবাসীদের ব্যবসা নিজেদের দখলে নিতে পারতো যে কোনো সময়। এ ক্ষেত্রে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পেত না প্রবাসীরা। এতে বাংলাদেশীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হত। এ নীতিতে পরিবর্তন আনছে সৌদি সরকার। এখন থেকে আইনি সুবিধা পাবে প্রবাসীরা। গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইননতুন বিনিয়োগ আনতে সৌদি সরকার ‘ভিশন-২০৩০’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে নতুন সম্ভাবনার দ্বার। এখন থেকে তারা তাদের নিজ নামেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। সৌদি আরব সরকার ২০১৫ সালের পর থেকে প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। এতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশাল সুযোগের সৃষ্টি হয়। এ উদ্যোগ সৌদি আরবের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করে সরকার। ভিশন ২০৩০-এর আওতায় সৌদিতে নানা ধরনের সংস্কার শুরু করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। উপসাগরীয় দেশটি তার ‘ভিশন-২০৩০’-এর অধীনে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘গ্রিন সৌদি উদ্যোগ’। পাশাপাশি রয়েছে ‘ফিফা বিশ্বকাপ ২০৩৪’ আয়োজনের মতো মেগা প্রকল্প। ভিশন ২০৩০-এর আওতায় সৌদিতে নানা ধরনের সংস্কারও শুরু করেছেন সৌদি প্রিন্স।

মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট ও কনস্যুলার সেবার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন পোস্ট অফিসের পাশাপাশি এবার দেশটির মেলাকা প্রদেশে ই-পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ, হাতে হাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি সার্ভিস ও কনস্যুলার সার্ভিস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কাউন্সেলর টিমের অস্থায়ী কার্যালয় ইপোহ ও জোহর বাহরু থেকে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করার জন্য আগে থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আগামী শনিবার (৪ জানুয়ারি) ও রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ইপোহ’-এর পেরাক দারুল রিজওয়ানের জালান রাজা ওমর সিতিওয়াংশা শাখার সিবিএল মানি ট্রান্সফার অফিস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট ও কনস্যুলার সেবা নিতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এ জন্য আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।’এছাড়া, আগামী ১১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত জোহর বাহরুর অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজ অফিস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট ও কনস্যুলার সেবা নেয়া যাবে। এ জন্য তাদের ৮ জানুয়ারির মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।নির্ধারিত স্থান থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য অনলাইনে https://appointment.bdhckl.gov.bd/other এই ঠিকানায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য বিদ্যমান পোস্ট অফিসের সার্ভিসটিও একইসঙ্গে চালু থাকবে। তবে, কাউকে একইসঙ্গে ডাকযোগে এবং অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।কাউন্সেলর টিমের অস্থায়ী কার্যালয়ে উল্লেখিত সময়, স্থান ও তারিখে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র দাখিল করা যাবে। ই-পাসপোর্ট আবেদনপত্র দাখিলের জন্য ‘এক্সপার্ট সার্ভিসেস এসডিএন বিএইচডি’র (ইএসকেএল) হেল্পলাইন নম্বর ০৩-৯২১২০২৬৭-এ কল করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।কনস্যুলার সার্ভিসে যা যা থাকছে: পাসপোর্টে তথ্য সংশোধনী সংক্রান্ত পত্র, পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন চিঠিপত্র, পাসপোর্টের ফটোকপি সত্যায়ন, জন্ম নিবন্ধন সনদ সত্যায়ন, ট্রান্সফার অব রেসিডেন্স বা দেশ ত্যাগের/পরিবর্তনের প্রত্যয়ন পত্র, একাডেমিক সার্টিফিকেট বা শিক্ষা সনদ সত্যায়ন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়ন ও প্রত্যয়নপত্র, আম-মোক্তারনামা বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, পারিবারিক সম্পর্কিত পত্র বা রিলেশনশিপ লেটার, বৈবাহিক সনদ, নিকাহনামা ও ডিভোর্স পেপার সত্যায়ন, মালয়েশিয়ান নাগরিক বিবাহের ক্ষেত্রে অবিবাহিত সনদ সত্যায়ন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কপি সত্যায়ন- সব রকমের কাগজপত্র ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে অত্র কন্স্যুলার টিমের কাছে জমা করতে হবে। এছাড়া, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণ ও প্রবাসী স্কিম খোলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণ ও গণশুনানিও এই সার্ভিসে থাকছে।

মোজাম্বিকে সংঘাতে দোকানপাট লুট, সরকারের সহায়তা চাইলেন বাংলাদেশিরা
আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের দেশ মোজাম্বিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও এর ফলাফল নিয়ে সহিংসতায় দেশটিতে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও চীনসহ বিদেশিদের দোকানপাট আক্রান্ত হচ্ছে। বেশ কিছু বাংলাদেশির ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেও লুটও হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশির হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। চলমান নৈরাজ্যের কারণে সেখানে ব্যবসায়সহ বিভিন্ন কারণে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। জানমাল রক্ষায় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সাহায্য চেয়েছেন। মোজাম্বিকে অবস্থানরত কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও দেশটিতে সংঘাত ও লুটপাটের খবর এসেছে। মোজাম্বিকের মেকানহেলা শহরে ব্যবসায় করেন চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মোহাম্মদ রেদোয়ানুর রহমান। তার প্রতিষ্ঠানের নাম মমতাজ কমার্সিয়াল। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এখানে প্রায় পাঁচ দশক ধরে ক্ষমতায় আছে ফ্রেলিমো নামে একটি দল। গত ৯ অক্টোবর এখানে নির্বাচন হয়। এতে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। কিন্তু, সরকারপক্ষ সেটা নাকচ করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে। এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মোজাম্বিকের শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন ফ্রেলিমো দলের ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করে। তখন এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী প্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলানের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশ-প্রশাসনের বড় অংশও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এক হয়ে যায়। এরই সুযোগে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে।’ মোহাম্মদ রেদোয়ানুর রহমান আরো বলেন, ‘রাজধানী মাপুতোয় বিক্ষোভ ব্যাপক আকারে নিয়েছে। সেখানে ও তার আশপাশে লুটতরাজও চলছে নির্বিচারে। লুটপাট ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনের কোন তৎপরতাই চোখে পড়ছে না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানাই, তারা যেন জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের মাধ্যমে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের ব্যবস্থা করেন।’ দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব সীমান্তলাগোয়া দেশ মোজাম্বিকে কতজন বাংলাদেশি থাকেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, সেখানে বাংলাদেশের কোন দূতাবাসও নেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ মিশন থেকে সেখানে যোগাযোগ রাখা হয়। ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশটিতে তখন বৈধভাবে তিন হাজার ৩৪৯ জন ভারতীয় ও এক হাজার ২৫৯ জন পাকিস্তানি ছিলেন। রেদোয়ানুর রহমানের মতে, প্রচুর বাংলাদেশিও দেশটিতে রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে মোজাম্বিক অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দোকানপাট লুটপাটের ভিডিও শেয়ার করতে দেখা গেছে। রেদোয়ানুর রহমানের ভাই মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনী ফলাফলকে কেন্দ্র করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি। আমরা এখানে দশ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছি (সংখ্যা যাচাইকৃত নয়)। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এখানে আছেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও চীনসহ বিদেশিদের দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও মিলকারখানায় হামলা চালিয়ে কৃষ্ণাঙ্গরা সব লুটপাট করেছে। অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেকে পথে বসে গেছে। আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। কেউ কেউ সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি। যেন মৃত্যুর সামনে বসে আছি। জানি না এখন কী হয়। যেহেতু এখানে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, তাই অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সাহায্য চাই আমরা। ’ মোজাম্বিকে থাকা চট্টগ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘এখানে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। একটা প্রদেশে ৯০ শতাংশের বেশি দোকানপাট লুটপাটের শিকার হয়েছে। আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের কাছে সাহায্য চাই। ছাত্র সমন্বয়কসহ সবাই যেন উদ্যোগ নিয়ে আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে।’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যা বলছে: বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আফ্রিকা) বিএম জামাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মোজাম্বিকে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ মিশন থেকে সেখানের বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, বাংলাদেশিদের বেশ কিছু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান-দোকানপাট ভাঙচুরও লুটপাট হয়েছে।’ সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।সংঘাতের সূত্রপাত যেভাবে: পর্তুগিজ উপনিবেশ থেকে ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা লাভ করা মোজাম্বিকে গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে ক্ষমতায় ফ্রেলিমো। তাদের বিরুদ্ধে বিরোধীমত নিপীড়নের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এর মধ্যে গত ৯ অক্টোবর সেখানে নির্বাচন হয়। এতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে বিরোধী দলগুলো। তবে, দারিদ্র্যপীড়িত মোজাম্বিকের শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন ফ্রেলিমো দলের ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে বিরোধী প্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলানের সমর্থকরা সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে রাস্তায় নামেন। আন্দোলন রূপ নেয় সহিংসতায়। প্রতিবাদকারীরা পুলিশ স্টেশন, পেট্রোল স্টেশন ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। সড়ক অবরোধ করে তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। সংবাদ মাধ্যমের হিসাব অনুসারে, গত অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গত সোমবারই (২৩ ডিসেম্বর) প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন নিহত হয়েছেন। দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন তাদের মধ্যে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাসকোয়াল রোন্ডা মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে জানান, সোমবার মোট ২৩৬টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে ২৫ জন আহত হয়েছেন, এর মধ্যে ১৩ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।

মোজাম্বিকে রাজনৈতিক সংঘাত, বাংলাদেশিদের দোকানপাট লুট
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় বেশ কিছু বাংলাদেশিদের দোকানপাট লুটপাট হয়েছে। তবে, এখনো পর্যন্ত কোন বাংলাদেশির হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আফ্রিকা) বিএম জামাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। মোজাম্বিকের চলমান পরিস্থিতিতে সেখানের বাংলাদেশিদের অবস্থা জানতে চাইলে জামাল হোসেন বলেন, ‘মোজাম্বিকে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ মিশন থেকে সেখানের বাংলাদেশিদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, বাংলাদেশিদের বেশ কিছু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট ভাঙচুরও লুটপাট হয়েছে।’ সেখানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ দিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্টে মোজাম্বিক অবস্থানরত বাংলাদেশিরা নিজেদের দোকানপাট লুটপাটের ভিডিও শেয়ার করতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গত, মোজাম্বিকে নির্বাচন পরবর্তী চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ২১ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাসকোয়াল রোন্ডা মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিহতদের মধ্যে অন্তত দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। তিনি জানান, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মোট ২৩৬টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ২৫ জন আহত হয়েছেন, এর মধ্যে ১৩ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছে। মোজাম্বিকে গত ৯ অক্টোবরের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ আনে বিরোধী দলগুলো। তবে, মোজাম্বিকের শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন ফ্রেলিমো দলের ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করলে বিরোধী প্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলানের সমর্থকরা সোমবার রাতে প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রতিবাদকারীরা পুলিশ স্টেশন, পেট্রোল স্টেশন ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে এবং সড়ক অবরোধ করেছে। টায়ার জ্বালিয়ে এবং রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। মোজাম্বিকে গত অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। মন্ডলান তার সমর্থকদের সামাজিক মাধ্যমে কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন এবং বলেছেন ‘বিজয় আমাদের সবার জন্য নিশ্চিত।’

ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু
ইতালি : ইতালিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেলাল উদ্দিন নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার দিকে ইতালির ভিচেন্সা শহরে একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার দেশের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায়।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে স্বপরিবারে বসবাস করছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তান, নাতীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবার ও ভিচেন্সায় বাংলা কমিউনিটিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আগামী শনিবার জানাজা শেষে তার লাশ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
১৬ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন নিউইয়র্কে বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা এতে অংশ নেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদগণ ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নিরবতা পালন ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পড়া হয়। এরপর অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত ‘গণমূক্তি অনিবার্য’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে একযোগে কাজ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি, জুলাই-আগস্ট অভ্যুথানের মাধ্যমে যে বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। সমাপনী বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আমাদের সূর্যসন্তানরা দেখেছিলেন, যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা অমূল্য প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান।’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সামঞ্জস্য বর্ণনা করে আব্দুল মুহিত বলেন, ‘রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নির্মূলের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ সৃষ্টির স্বপ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, সেই একই প্রেরণায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।’ তিনি গণঅভ্যুথানের উত্তাল সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমর্থন এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা গণঅভ্যুত্থানকে বেগবান করতে তাদের অবদান স্বরণ করেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। আব্দুল মুহিত গণঅভ্যুথানের চেতনায় অদম্য বাংলাদেশ ২.০ গড়ে তোলার জন্য সব প্রবাসী বাংলাদেশীকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। নানা ধরনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, তা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সাফল্য দেখিয়েছে।’ এ বিষয়ে তিনি প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এই মুহুর্তে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ যে সব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবেলায় সকলের একতাবদ্ধ থাকার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সদস্যরা দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া শিশু শিল্পীরা কবিতা ও গান পরিবেশন করে।এর আগে, সকালে বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. মো. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। মহান বিজয় দিবসে আলোচনাকালে চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বৈষম্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। এসব অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

দুবাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদায় রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল মোঃ রাশেদুজ্জামান। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মরণে এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনা করে মোনাজাত ও দোয়া করা হয়। সন্ধ্যায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণীসমূহ পাঠ করে শোনান কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা। দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল মোঃ রাশেদুজ্জামান সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং উপস্থিত সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি মহান বিজয় দিবসে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়ার আহবান জানিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার আহবান জানান। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর উপর আলোকপাত করে কনসাল জেনারেল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীদের সক্রিয় ভুমিকা রাখার জন্য আহবান জানান। এছাড়াও, তিনি সরকারী ও কনস্যুলার সেবা সহজীকরণের জন্য কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় কনস্যুলেট পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা সমবেত সঙ্গীত, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতারা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এবং সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক দর্শক বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মানবপাচার চক্রের চার হোতা গ্রেফতার, উদ্ধার ১১ বাংলাদেশি
অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। উদ্ধার করা হয়েছে চক্রের কবল থেকে ১১ জন বাংলাদেশিকেও। তাদের পাচার করার প্রস্তুতি চলছিল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান। তিনি জানান, দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে কুয়ালালামপুর চেরাসের তিনটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় চক্রের হোতা চার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের সবার বয়স ৩৫-৩৮ বছরের মধ্যে। গ্রেফতার পুরুষ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অবৈধ অভিবাসন আইন, ২০০৭’-এর ১২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আর আটক নারীর বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩’-এর ধারা ১৫ (৪) অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। চক্রের কবল থেকে ১১ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারের পাশাপাশি ১৭টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ২০টি মোবাইল ফোন, ৮০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, ৮০০ মার্কিন ডলার ও দুইটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার ১১ বাংলাদেশির বয়স ৩০-৩৮ বছর বলে জানানো হয়। দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, চক্রটি কাজের লোভ দেখিয়ে তারা বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ায় আনতে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ হাজার রিঙ্গিত আদায় করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘চক্রটি পাসপোর্ট, ভিসা ও বিমানের টিকিটের সব ব্যবস্থা করে বাংলাদেশিদের পর্যটক হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করাত।’

মালয়েশিয়ায় পোশাক কারখানা থেকে ৩৫ বাংলাদেশি ও ১৫ রোহিঙ্গা আটক
পোশাক কারখানায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের অভিযোগে ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খবর দ্যা স্টারের। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাহাবান জানিয়েছেন, স্থানীয়দের অভিযোগ ও দুই সপ্তাহের নজরদারির পর বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চেরাসের পোশাক কারখানায় অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘অভিযান চলাকালে ৪৬ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশি পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়, তিনি ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিচ্ছিলেন।’ এ ছাড়া, ৩৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ ও ১৫ জন মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা পোশাককর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন বলে ধারণা অভিবাসন কর্তৃপক্ষের। কোম্পানিটি প্রায় দুই বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ। ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাহাবান বলেন, ‘অভিযানে প্রায় ৪০টি টাইম কার্ড ও বিভিন্ন সেলাই মেশিন জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সবাইকে আরও তদন্তের জন্য বুকিত জলিল ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।’

আমিরাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বর্ণিল অভিষেক
সংযুক্ত আরব আমিরাতে উৎসবমুখর পরিবেশ ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইয়ের নতুন কমিটির যাত্রা শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় বানিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের একটি অভিজাত হোটেলের বল রুমে প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইলের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল শাহীনের যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি এস এম মোদাসসের শাহ। এতে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএর সভাপতি মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অভিষেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই এর মান্যবর কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান। প্রধান অতিথি প্রেসক্লাবের ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে বলেন এটি যে পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন তা চমৎকার এই আয়োজন দেখে বুঝা যায়। পাশাপাশি তিনি প্রেসক্লাবের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং প্রবাসীদের আমিরাতের আইন কানুন মেনে চলার আহবান করেন। এই অভিষেকে বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রধান করেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিষ্ট আইয়ুব ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার ও কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ এর মহাসচিব মীর আব্দুল আলীম। জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি আইয়ুব ভুঁইয়া তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই'র পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, "আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।" তিনি বলেন, 'আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের নিয়ে তারা কাজ করছে। অতএব তাদের এ যাত্রায় অবশ্যই জাতীয় প্রেসক্লাব পাশে থাকবে এবং দেশে আসলে কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।" এছাড়াও তিনি প্রেসক্লাব ইউএই'র নেতৃবৃন্দের ভুয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ সমিতি ইউএই'র সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দুবাই পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা ওমর আফলাতুন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জাকির হোসেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বনামধন্য ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী, দুবাই কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান, ওলংগং ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. জিনাত রেজা খান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দুবাই পুলিশের সিনিয়র অফিসার ক্যাপ্টেন খালেদ আল হাসমি, কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম, কাউন্সিলর কাজী ফয়সাল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুবাইয়ের রিজিউনাল ম্যানেজার শাকিয়া সুলতানা, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মীর কামাল, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ইয়াকুব সুনিক। অনুষ্ঠানের মেইন স্পনসর মিডিলিস্ট ফ্যাশন, কো স্পনসর আফলাতুন গ্রুপ অব কোম্পানি ও প্রাইম হাব। সাপোর্টিং স্পনসর - ওয়াল স্ট্রিট এক্সচেঞ্জ, আল মামুন মেটালিক, এ ওয়ান প্রোটিন ডট কম, আল কারিয়াহ আল খাদরা ইউজড কার ট্রেডিং এলএলসি, তাউশ গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ওয়েল টাচ গার্মেন্টস ট্রেডিং এলএলসি, এক্সসেলেন্স জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি, শাহাদাত গ্রুপ অব কোম্পানিজ ও জি স্প্রিংক আইটি সোলুশনস এফজেড এল এল সি। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাফায়াত উল্লাহ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ইশতিয়াক আসিফের সঞ্চালনায় জমকালো আয়োজনে গান পরিবেশন করেন, আমিরাতের জনপ্রিয় শিল্পী রাসেল, সামিদা, সাদ ও মুহাম্মদ আবু শাহাদাত সায়েম। এ সময় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই'র সদস্যবৃন্দ, কনস্যুলেট কর্মকর্তা, আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম্ম আল কোয়াইন, ফুজিরাহ, রাস আল-খাইমাহ তথা আমিরাতের সাতটি প্রদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন অঙ্গনে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রিসে পোলিশ নারীকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে বাংলাদেশি যুবকের যাবজ্জীবন
পোল্যান্ডের নাগরিক আনাস্তাসিয়াকে (২৭) অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিনকে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন গ্রিসের একটি আদালত। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণার পর গ্রিসের গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটিকে সাম্প্রতিক দশকগুলোর অন্যতম নৃশংস অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সংবাদ টিভিএন-২৪’-এর। গেল সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলার কৌঁসুলি সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনেন। পরে শুনানি ও অন্যান্য যুক্তিতর্ক শেষে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। গ্রিসে কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন আনাস্তাসিয়া। ২০২৩ সালের জুনের কোন এক দিনে তিনি তার কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা ও আড্ডা দিচ্ছেন, যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিলেন। পরে তাকে ওই ব্যক্তির স্কুটারে চড়ে তার বাসায় যেতে দেখা যায়। এটিই ছিল আনাস্তাসিয়াকে জীবিত অবস্থায় শেষবার দেখা। আনাস্তাসিয়া তার প্রেমিককে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তবে এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। সালাহউদ্দিনকে শুরু থেকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ তিনি ছিলেন আনাস্তাসিয়ার সঙ্গে দেখা করা শেষ ব্যক্তি। স্থানীয় পুলিশের ভাষ্য অনুসারে, নিহত আনাস্তাসিয়ার লাশ স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা খুঁজে পান। কস দ্বীপের পর্যটন স্থান সল্ট লেকের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ডালপালার নিচে লুকানো অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় লাশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আনাস্তাসিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং হত্যার আগে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল।

আমিরাতে বাংলাদেশ লেডিস ক্লাবের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সংযুক্ত আরব আমিরাত: সংযুক্ত আরব আমিরাতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব করেছে ‘বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব ইউএই’। শনিবার (৩০ নভেম্বর) শারজাহ মাদাম ওয়াইএস ফার্ম হাউসে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে হরেক রকম পিঠার চমৎকার আয়োজন ও পরিবেশন নজর কাড়ে ভিনদেশী দর্শনার্থীদেরও। ছিল নকশী পিঠা, ভাঁপা পিঠা, সেমাই পিঠা, পাকোন পিঠা, রসে ভেজা পিঠা, সুজি পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, পুলি পিঠা, তেলের পিঠা, দুধ চিতই পিঠা ও পায়েসসহ ৩০ প্রকার পিঠা।ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা লিজা হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সাদিয়া আবছার শারমিন ও রাখি মহসিনা তানিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট লাবণ্য আদিল, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদিয়া আফসার ও নিশাত জাহান চৌধুরী নিশু, কো-অর্ডিনেটর শারমিন রাখী, উপদেষ্টা ইয়াসমিন মেরুনা, জেসমিন আক্তার, রোমানা আক্তার ও শরিফা সৈনিক, এক্সিকিউটিভ শবনম আক্তার, সালমা শাফায়েত ও তানিয়া আহমেদ, টিম লিডার সাঈদা আহমেদ নওরিন, মহসিনা তানিয়া, ঈশিকা মাজহার, সাথী আলী, ঈশিকা পারভিন, নাসরিন আক্তার, রুমানা বর্ণি, কামরুন নাহার ও ফাহমিদা সুলতানা। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আরব আমিরাত আইক্যাব শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি আহমেদ আলী জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন দুবাইয়ের সহ-সভাপতি ইয়াকুব সৈনিক, প্রবাসী সাংবাদিক সমিতির (প্রসাস) সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার।খেলাধুলা পর্বে ছিল ছোট ছেলে-মেয়েদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মহিলাদের বালিশ খেলা। শেষে খেলাধুলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানে আহমেদ আলী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের নারীরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রবাসে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা খুবই উৎসাহিত। তাদের এ অগ্রযাত্রা এভাবে আরো এগিয়ে যাবে, সে কামনাই করি। সংযুক্ত আরব আমরাতে বাংলাদেশী লেডিস ক্লাব বড় সংগঠন। এই সংগঠন গত ছয় বছর ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও তারা নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে বহির্বিশ্বে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তারা আরো সুনাম অর্জন করবে।’ ইয়াকুব সৈনিক বলেন, ‘বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব প্রবাসের বুকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি কালচার তুলে ধরছে। প্রবাসের মাটিতে পিঠা উৎসব, বাংলাদেশী কালচার, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে। আমিরাতে বাংলাদেশি পুরুষের পাশাপাশি লেডিস ক্লাব পিছিয়ে নেই। তারা বাংলাদেশি পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে কমিউনিটির জন্য কাজ করছে।’লিজা হোসাইন বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছি। বিভিন্ন সমাজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি অংশ নিয়ে থাকি। প্রবাসে বাংলাদেশের অসংখ্য মহিলা আছেন। তারা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন না। তাদের কথা মাথায় রেখে ছয় বছর আগে আমরা লেডিস ক্লাবের সূচনা করি। বাংলাদেশি সংস্কৃতি প্রবাসের মাটিতে তুলে ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ লেডিস গ্রুপে দুই হাজার ২০০ সদস্য রয়েছে। এখানে আবুধাবি, দুবাই, আল-আইন, রাস আল খাইমা, সারজাহ, আজমান, ফুজিরাসহ প্রত্যেক স্টেটে একজন করে প্রতিনিধি রয়েছে। প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যই আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ লাবণ্য আদিল বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরের মত এবারো নবান্ন উৎসব করেছি। নবান্নকে বরণ করার জন্য আমাদের আজকের এই আয়োজন। বাংলাদেশে বসবাস করার কারণে আমরা নবান্নের স্বাদটা দেখে বড় হয়েছি। আমাদের সন্তানদের অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্মকে নবান্ন বা পিঠা উৎসব পরিচয় করাতে চাই।’ নিশাত জাহান চৌধুরী নিশু বলেন, ‘বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব একটি নারী সংগঠন। এবারের উৎসবে বাচ্চাদের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, মহিলাদের পিলো পাসিং ও পিঠা উৎসব ছিল। আমরা চেষ্টা করি, আমাদের সন্তানের দিকটা বিবেচনা করে তাদেরকে এই পিঠা-পুলির সাথে পরিচয় করাতে। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। নিত্য নতুন অনুষ্ঠান নিয়ে আমরা আসব।’ সাদিয়া আফসার বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতেও আমরা এই উৎসবসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছি। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, চিরায়ত বাংলার মুখ তুলে ধরতে আমাদের প্রস্তুতির কমতি ছিল না। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের এই অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেয়।’

সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপনের জন্মদিন আজ
দৈনিক কালবেলা ও বাংলানিউজের ইতালি প্রতিনিধি প্রবাসী সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপনের জন্মদিন আজ। ১৯৮৭ সালের আজকের এই দিনে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।বর্তমানে তিনি ইতালির ভিচেন্সায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় শুরু হয়েছিল ইসমাইল হোসেন স্বপনের সাংবাদিকতার জীবন।তিনি বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে সাংবাদিকতায় কাজ করেছেন দৈনিক প্রভাত, দিনের শেষে, বহুল প্রচারিত ভোরের কাগজ, দৈনিক মানবজমিনসহ বেশ কয়টি পত্রিকায়।প্রবাসে আসার পর আজও সাংবাদিকতা জীবন অব্যাহত তার। এখানে আসার পর প্রথমে দৈনিক আমাদের সময়, পরবর্তীতে অনলাইন নিউজপোর্টাল রাইজিং বিডি, ইতালি প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তারপরসংবাদ প্রতিদিন, সময়ের কন্ঠস্বর, সারাবাংলা, নিউজ জি সহ বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে কাজ করেন। বিভিন্ন বিষয়ে ফিচার ও মতামত লিখেন তিনি।ইসমাইল হোসেন স্বপন বলেন, পাওয়া না পাওয়ার ব্যক্তিগত কোন অর্জন বা অনার্জনের কোনো চিন্তা থেকে নয় দেশ ও দশের স্বার্থে সাংবাদিকতা করি আমি। নিপীড়িত, শোষিত মানুষের স্বার্থে সাংবাদিকতাকেই ব্রত হিসেবে নিয়ে কাজ করছি। কতটা সফল হয়েছি তা অপরের বিচার্য, তবে ব্যর্থ হইনি বলেই মনে করি।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যখন সাংবাদিকতা করতাম সহকর্মীরা সব সময় সংবাদ সংগ্রহে সহযোগিতা করতেন। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়, প্রবাসে সাংবাদিক সহকর্মীরা সব সময় সংবাদ সংগ্রহে আমাকে সহযোগিতা করেন। তাদের সহযোগিতাই হয়ত প্রবাসে এত ব্যস্ততার মাঝেও রক্তের সঙ্গে মিশে যাওয়া, ভালো লাগা, আত্মতৃপ্তির পেশায় নিজেকে যুক্ত রাখতে পেরেছি।ইতালিতে প্রবাসী বাংলা কমিউনিটি, ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসসহ দেশটিতে ঘটে যাওয়া সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ দ্রুত সময়ে কভার করেন তিনি। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ইতালিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বাংলা কমিউনিটি সাথে কাজ করেন।

দুবাই ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের সাথে দুবাই বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের সাক্ষাৎ
সাইফুল ইসলাম তালুকদার, ইউএই থেকে:সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান দুবাই ইমিগ্রেশনের রেসিডেন্সি এন্ড ফরেনার্স এফেয়ারস-(জিডিআরএফএ)-এর মহাব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ আহমদ আল মারীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সংস্থাটির সদর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন তারা।মহাব্যবস্থাপক মারী বাংলাদেশের নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেলকে দুবাই-এ স্বাগত জানান এবং তার দায়িত্ব পালনকালে দুবাই ইমিগ্রেশনের পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মহাব্যবস্থাপক আহমদ আল মারী ও কনসাল জেনারেল রাশেদুজ্জামান দুবাইয়ে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ এবং অধিক সংখ্যক বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভিসা সহজিকরণসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আহমদ আল মারী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বৈঠক শেষে মহাব্যবস্থাপক মারী কনসাল জেনারেলকে দুবাই ইমিগ্রেশেনের সদর দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরিয়ে দেখান। দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের শ্রম কল্যাণ উইং এবং জিডিআরএফএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।