
পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের জমকালো উদ্বোধন
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সদ্য গঠিত পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় এই জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আহাদ সালমান। সমাপনী বক্তব্যে চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ জীবন অতিথিসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। আব্দুল আহাদ সালমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, অত্যন্ত গর্ব ও কৃতজ্ঞতার সাথে আমি আজ চেম্বার অফ কমার্স পর্তুগাল-বাংলাদেশের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আছি। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত করে। বিশেষ করে সেক্রেটারি অফ স্টেট এর অটল সমর্থন এবং উপস্থিতিতে আমাদেরকে সম্মানিত করেছে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্ব আমাদেরকে অর্থপূর্ণ সহযোগিতার জন্য অনুপ্রাণিত করে। এছাড়াও অ্যাঙ্গোলান কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতে পারা আমাদের জন্য সম্মানের বিষয়। আপনাদের অংশগ্রহণ লুসোফোন দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান আন্তঃসংযোগকে হাইলাইট করে, একতা এবং ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, অ্যাঙ্গোলার প্রাণবন্ত শহর লুয়ান্ডা থেকে আটলান্টিদা ইনস্টিটিউটের ডিন স্ট্যানিস্লা ব্যারোসকে অনুষ্ঠানে পেয়ে আমরা সৌভাগ্যবান। আপনার দক্ষতা এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষা এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি এই ইভেন্টের জন্য অপরিমেয় মূল্য নিয়ে আসে। ব্রাজিলের চেম্বার অব কমার্সের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল আমাদের সাথে যোগ দেওয়ায় ব্রাজিল এবং পর্তুগালের মধ্যে সহযোগিতার সেতুকে শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশা করি। এছাড়াও আব্দুল আহাদ সালমান লিসবন জেলা সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি ডাঃ জোয়াকুইন ফেরেইরা, পর্তুগিজ সরকারের উপদেষ্টা পাওলো নুনেস, চেম্বারের আইন উপদেষ্টা ডা. আলেকজান্দ্রে ক্যাটানো, আগা খান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সার্জিও অলিভেরা এবং জোয়াও কুইরোজ, ইউনেস্কো এবং ওএনইউ-এর প্রতিনিধি প্রফেসর ডেভিড মায়া হিন্দু সম্প্রদায় থেকে আসা প্রতিনিধিদলসহ অতিথিদেরকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই চেম্বার একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি; এটি একটি সেতু যা জাতি, সংস্কৃতি এবং শিল্পকে একত্রিত করে। এটি অংশীদারিত্বের চেতনাকে মূর্ত করে এবং উদ্ভাবন, সংলাপ এবং বৃদ্ধির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে। একসাথে আমরা এমন সুযোগের পথ প্রশস্ত করব, যা কেবল পর্তুগাল এবং বাংলাদেশ নয়, আমাদের বর্ধিত বিশ্ব সম্প্রদায়কেও উপকৃত করবে। চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে পর্তুগিজ সরকারের উপদেষ্টা পাওলো নুনেস, লিসবন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি ডাঃ জোয়াকুইন ফেরেইরা, ব্রাজিলের চেম্বার অব কমার্সের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল, অ্যাঙ্গোলান কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল, লুয়ান্ডার আটলান্টিদা ইনস্টিটিউটের ডিন স্ট্যানিস্লা ব্যারোস, আগা খান ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশ ও পর্তুগালের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

গঠিত হল পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স
ইউরোপের দেশ পর্তুগালের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও ব্যবসায়-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স গঠন করা হয়েছে। মোহাম্মদ জীবনকে সভাপতি ও আব্দুল আহাদ সালমানকে সেক্রেটারি করে সম্প্রতি এ চেম্বার অব কমার্স গঠন করা হয়। কমিটিতে মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট, মীর মোহাম্মদ শাহরুজ্জামানকে প্রেসিডেন্ট জেনারেল এসেম্বলি, পেদ্রো জর্জ পিরেসকে নির্বাহী পরিচালক, রুই পাউলো মিগুয়েল মাউটিনহোকে পরিচালক, আলেক্সান্দ্রে কোতানো দা সিলভাকে আইন উপদেষ্টা, আনানা রহমানকে আর্থিক বিভাগের সভাপতি ও রোজানে লিভেইরা চাভেস পিরেসকে সহ-সভাপতি, ড. হেলিও-কে হিসাবরক্ষক ও ড. মারিশাকে সহকারী হিসাবরক্ষক করা হয়েছে। পর্তুগালে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশী প্রবাসী বাস করে। এরমধ্যে ৫০ হাজার বাংলাদেশী নিয়মিত কর দেন। বাংলাদেশ থেকে মোট ২৫ হাজার ৬৬৬ জন স্থায়ীভাবে অভিবাসন নিয়েছেন, যার মাঝে ২০ হাজার ৩৯৫ জন পুরুষ ও পাঁচ হাজার ২৭১ জন নারী। ২০২৩ সালে ১৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ১১৪ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয় পর্তুগালে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত পণ্য সামগ্রীর মধ্যে টেক্সটাইল, হোম টেক্সটাইল, কটন, নন- কটন জাতীয় তৈরি পোশাক অন্যতম। গেল ছয় বছরে পর্তুগালে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ৫৮ শতাংশ। পর্তুগাল থেকে চলতি বছরে জুলাইয়ে সাত দশমিক ৯২, আগস্ট মাসে ছয় দশমিক ৫৬, সেপ্টেম্বর মাসে আট দশমিক ৪৯, অক্টোবর মাসে ছয় দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে এসেছে। পর্তুগালে ৫০টি মসজিদ রয়েছে, যার মাঝে ১৪টি প্রবাসী বাংলাদেশীদের দ্বারা নির্মিত। এরই ধারাবাহিকতায় পর্তুগালের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও ব্যবসায়-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্তুগাল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স গঠন করা হল। কাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) পর্তুগালে সংগঠনের গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে পর্তুগালের পররাষ্ট্র সচিব নুনো সামপাইও, লিসবনের মেয়র কার্লোস মোয়েডাস, অ্যাঙ্গলোর প্রতিনিধি, ব্রাজিল দূতাবাসের প্রতিনিধি, পর্তুগিজ পার্লামেন্টের পিএসডি পার্টির সাংসদ, আলভালাদে- লিসবনের জুন্তা দে ফ্রেগুয়েসিয়ার সভাপতি টোমাস গনক্যালভেস, এগা খান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. করিম মেরালি ও লিসবনের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর সদর দফতরের শহর 'জেনেভা'

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেখানে অভ্যর্থনা সভার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নেভাল অপারেশনস ফর ইন্টিগ্রেশন অফ ক্যাপাবিলিটিস অ্যান্ড রিসোর্সেসের ভাইস অ্যাডমিরাল জে র্ব্যাড স্কিলম্যান। জে র্ব্যাড স্কিলম্যান জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবদানকে অগ্রগণ্য করে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার ও আত্মোৎসর্গকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক মহিমান্বিত অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। জে র্ব্যাড স্কিলম্যান শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ডিএম সালাহউদ্দিন মাহমুদ, দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম। দূতাবাসের প্রথম সচিব আতাউর রহমান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন । সালাহউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যসহ আত্মত্যাগকারী লাখো শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গভীর ও বহুমুখী প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর জোর দেন এবং উভয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। সালাহউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, ডিফেন্স অ্যাটাচে, পেন্টাগন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মো. শাহেদুল ইসলাম অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সর্মথন ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। কেক কাটা ও নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

একাত্তরের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত, বললেন আমির
১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী কোন ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়েছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিন। এ অভ্যুত্থানে দেশের সব শ্রেণীর মানুষ অংশ নিয়েছিল। এমনকি দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রত্যেকেই যার যার সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন।’ প্রবাসীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে জন্মভূমি বাংলাদেশকে বিপুল সহায়তা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘মনিটারি রেমিটেন্সের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যেও আমি প্রবাসীদের কাছে আবেদন রাখছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাটভাবে সহায়ক হবে। এভাবেই স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসীরা অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’ বিগত সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে শফিক বলেন, ‘যে পরিমাণ উন্নয়ন করা সম্ভব হত, সেটা আসলে হয়নি। বাংলাদেশে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সে ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প তার তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয়েই সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের দেশে সময় মত কোন প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি, একের পর এক সময় বাড়ানো হয়েছে আর সেই সাথে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের ব্যয়। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।’ একাত্তরে ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একাত্তরে আমরা কোন ভুল করে থাকলে এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব। ব্রিটেনের কোর্ট চৌধুরী মাইনুদ্দিনের বিষয়ে বিচারের রায়ে আমাদের দেশে ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নামে যে বিচার হয়েছে, তার অবজারভেশনে এখানকার বিচারপতিরা সে রায়কে জেনোসাইড অব জাস্টিস বলেছে। ১৫টি বছর আমাদেরকে আমাদের অফিসে বসতে দেয়নি, আমাদেরকে কথা বলতে দেয়নি, আমাদেরকে কোন র্যালি করতে দেয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে যেতে পারিনি।’ শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘জাতিগতভাবে অনৈক্য ও দুর্নীতির কারণে আমরা জাতি হিসেবে আগাতে পারিনি। দুর্নীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেদের দুর্নীতি থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে পারার কারণে পুরো বিশ্বে নিজেদের একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি। যারা সমাজ পরিচালনা করবেন, তারা পরিচ্ছন্ন না হলে সমাজ পরিচ্ছন্ন হবে না।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র আবু বকর মোল্লা। আবু সালেহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইমাম উদ্দিন ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পী কামাল হোসাইন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা মিডিয়ার ৫০ জনের মত সাংবাদিক এতে অংশ নেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিলছে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার বিশেষ সুযোগ
সাইফুল ইসলাম তালুকদার, দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত: সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে অবৈধভাবে অবস্থানরত প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার বিশেষ সুযোগ সাধারণ ক্ষমা। এ সাধারণ ক্ষমার মেয়াদকাল ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। ফলে, অবৈধরা বৈধ হয়ে দেশটিতে অবস্থান করার অথবা বৈধভাবে দেশে চলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রবাসীরা এ সুযোগটা লুপে নিতে সকলকে আহ্বান জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত দশ লক্ষাধিক বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীদের সংখ্যা কম নয়। দীর্ঘ দিন ধরে আমিরাতে দেশীয় শ্রমিকদের ভিসা বন্ধ থাকায় এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় আমিরাতের সাধারণ ক্ষমায় অবৈধ প্রবাসীদের একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আল বোরাক গার্মেন্টস আজমানের ডিরেক্টর নারী উদ্যোক্তা শেফালী আকতার আখি বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমায় অবৈধরা ভিসা লাগিয়ে বৈধ হতে পারলেও ভিসা আভ্যন্তরিন পরিবর্তনের সুযোগ না থাকাতে চাহিদা মাফিক দেশীয় কর্মী পাচ্ছেন না বহু প্রতিষ্ঠান। ফলে, তারা দেশীয় শ্রমিক সংকটে আছেন। ব্যবসায়-বাণিজ্য ও কাজ কর্মের পরিধি বাড়াতে পারছেন না।’ দুবাই স্কাইজোন ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন রশিদ জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ দুই মাস বাড়াল দেশটির সরকার। ক্ষমা প্রার্থীদের অনেকে নানা প্রতিবন্ধকতায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈধ হতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, সময়সীমা বৃদ্ধির ঘোষণায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। দুবাই হাবিবুর রহমান টাইপিং এর স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রবাসীদের প্রত্যাশা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে আমিরাতে বন্ধ ভিসার দ্বার উম্মুক্ত করতে অন্তর্বতী সরকার সচেষ্ট হবেন।’ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের সেবা দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের দুইটি মিশন থেকে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। প্রবাসীরা যাতে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে পারেন, সে লক্ষ্যে মিশনের পাসপোর্ট উইং এবং লেবার উইংকে স্বয়ংক্রিয় করতে জনবলও বাড়ানো হয়েছিল। তবে, যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পাসপোর্ট হাতে পাননি, তারা এখন নির্বিঘ্নে সুযোগটি নিতে পারছেন।’তিনি আরো বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের দেওয়া সাধারণ ক্ষমা আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর্যন্ত আরো দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। আমি আহ্বান করব, যারা এখনো পর্যন্ত অবৈধ আছেন, তারা যেন এ সুযোগটা কাজে লাগান। যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে অথবা নয়া পাসপোর্ট করাতে চান, সেসব বাংলাদেশিদের দ্রুত পাসপোর্ট করিয়ে নিয়ে ক্ষমার বর্ধিত সুযোগ কাজে লাগাতে পারেবেন।’ কনসাল জেনারেল বলেন, ‘মেয়াদ দুই মাস বাড়ানোয় যেমনিভাবে প্রবাসীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে, তেমনিভাবে আমরাও চাই বৈধতা লাভে ভিসা প্রত্যাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। সেজন্য সহজ পরিসেবা বৃদ্ধি ও বিশেষ ব্যবস্থাসহ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাসময়ে পাসপোর্ট/দেশ ত্যাগে ট্রাভেল পারমিট করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার, দূতাবাস ও কনস্যুলেট খুবই সক্রিয়।’ তিনি জানান, দুবাই আল আবির সেন্টারে কনস্যুলেটের হেল্প ডেস্ক রয়েছে। সেখান থেকেও সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। আমিরাতের প্রসিদ্ধ বা বড় কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে আবির সেন্টারে বুথ খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইর কাউন্সিলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল জানান, সাধারণ ক্ষমা শুরু হওয়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দুবাই থেকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় সেবা নিয়েছেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৩ জন অভিবাসী। এ সময় প্রবাসীরা ই পাসপোর্ট নিয়েছেন এক লাখ ২৭ হাজার ৬৭০, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিয়েছেন ১৮ হাজার ৫৯৮ জন। হাতে লিখা পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়িয়েছেন নয় হাজার ৭৩৭টি। সর্বমোট এক লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৭১ জন প্রবাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে পাসপোর্ট নিয়েছেন। ট্রাভেল পারমিট নিয়ে দেশে গেছেন ১১ হাজার ৪৬৫ জন অবৈধ অভিবাসী। অপর দিকে আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবির কাউন্সিলর (পাসপোর্ট এন্ড ভিসা) সাইফুল ইসলাম জানান, আবুধাবিতেপ্রবাসীরা ই-পাসপোর্ট নিয়েছেন সাত হাজার ২১০ জন এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নিয়েছেন চার হাজার ৫৯৭ জন।

মালয়েশিয়ায় এক সপ্তাহে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে গত এক সপ্তাহে মোট তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের তিনজনই যশোরের বাসিন্দা। এর মধ্যে দু’জন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ও একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আবু দাউদের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪৫), মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের ঝাঁপা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৫) ও হানুয়ার গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে মিন্টু হোসেন (৪৫)। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের আবু দাউদের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪৫) গত রোববার (১০ নভেম্বর) একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মহিদুল ইসলামের দুই জন সন্তান রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের ঝাঁপা গ্রামের আব্দুল মজিদও (৪৫) হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে মারা যান। জানা গেছে, মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন তিনি। গত রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমান মজিদ। রাতের কোনো এক সময়ে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতালে হিমঘরে রয়েছে। আব্দুল মজিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু মুছা। এ ছাড়াও, গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে মিন্টু হোসেন (৪৫) নামে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। মালয়েশিয়ার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। নিহত মিন্টু হোসেন মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের আমিন উদ্দিন সরদারের ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক। স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেদুর রহমান টিটো এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনজনের মৃত্যুতে প্রতিটি পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের স্বজনেরা তাদের প্রিয়জনের মরদেহ ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন। তাদের এলাকায়ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরদেহ তিনটি বাংলাদেশে আনার সকল আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপন পেলেন বিটিএসএফ সম্মাননা
ইতালি থেকে: শরীয়তপুর জেলার কৃতি সন্তান, বিটিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান, সংগঠক ও ইতালি প্রবাসী সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপন সফল সংগঠক হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য বিটিএসএফ ‘সম্মাননা স্মারক’ পেয়েছেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তোপখানা রোডের ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরামের (বিটিএসএফ) ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এসময় দেশের নানা শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।তিনি আগেও বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বিটিএসএফ-এর চেয়ারম্যান কায়সার হাসানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. আল-আমিন শাওনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- সাবেক এমপি ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সংগঠক ও বিটিএসএফ-এর কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু। প্রধান বক্তা ছিলেন- বার্তা প্রবাহ পত্রিকার সম্পাদক ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশিষ্ট জাদু শিল্পী ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ঢাকার লাবণ্য ক্রিয়েশনের চেয়ারম্যান ও বিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মো. মনিরুজ্জামান, ইদিলপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ওবিটিএসএফ-এর উপদেষ্টা মো. দেলোয়ার হোসেন শিকারী, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি ও বিটিএসএফ-এর কো-চেয়ারম্যান শরীফ মো. আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ প্যাকেজিং মালিক কল্যাণ পরিষদ ঢাকার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শামছুল আলম, রুদ্রকর নীলমনি উচ্চ বিদ্যালযের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইদ মাহমুদ। বিশেষ বক্তা ছিলেন- বিটিএসএফ-এর ভাইস-চেয়ারম্যান ফাতেমা বেগম, এম এ গফুর মোল্লা, মাহবুবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- ভাইস-চেয়ারম্যান মু. হারিসুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মো. ছবুর হোসেন, হামিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, আসাদুজ্জামান মিঞাসহ অনেকে। বিটিএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ।

কানাডায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কুইবেক ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কানাডা শাখার যৌথ উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে।কানাডার মন্টিয়েল শহরে এ দিবস পালন করা হয়। এসময় বক্তার বলেন, ৭ নভেম্বর এর চেতনায় আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনে বিশৃঙ্খলাসহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশ একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে ফিরে আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন, উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক কানাডা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, স্বাগত বক্তব্য দেন কুইবেক বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান। পরিচালনা করেন কুইবেক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কানাডা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফয়সল আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়াও প্রধান আলোচক ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবিদ বাহার, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দল কানাডার সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা আরমান মিয়াসহ অনেকে।

চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি
চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও ছবি সম্বলিত নোটিশ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে বসবাসরত বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে দূতাবাস কর্মীরা শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে ফেলেন। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে ছবি নামাতে বলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদের নির্দেশনায় উপস্থিত ছিলেন, হোসাইন মোহাম্মদ সাখাওয়াত, শেখ মাহবুবুর রশীদ, মো. রুহুল আমিন, আসিফ হক রুপু, মো. ওয়ালী উল্লাহসহ অনেকে। বিএনপি নেতারা বলেন, একজন স্বৈরশাসকের বিদায় হলেও বিভিন্ন জায়গায় এখনো তাদের প্রেতাত্মারা বিরাজমান। আজকে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতিবাদ করায় তারা নিজ দায়িত্বে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও ছবি সম্বলিত নোটিশ সরিয়ে নেয়।

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দিতে গড়িমসি ব্যাংকগুলোর!
প্রবাস থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে বাংলাদেশ সরকার রেমিট্যান্স হিসেবে বৈধতা দেয়। কিন্তু রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে একদিকে যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা, অন্যদিকে দেশ হারাচ্ছে রাজস্ব। এমন পরিস্থিতিতে, দ্রুত এর সমাধানের দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান অমূল্য, এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই। দীর্ঘদিন পরিবার পরিজনের কাছ থেকে দূরে থেকে পাঠানো প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ যেমন পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তোলে, তেমন এই রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বিশেষ অবদান রাখে।প্রবাসীরা কেউ বাংলাদেশে তাদের নিজেদের অ্যাকাউন্টে, কেউ তাদের মা-বাবা কিংবা পরিবারের অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। বিদেশ থেকে পাঠানো এ অর্থ দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে বাংলাদেশ সরকারও রেমিট্যান্স হিসেবে এর বৈধতা দিয়ে থাকে। তবে প্রবাসীরা ভোগান্তিতে পড়েন দেশে তাদের ব্যাংকে জমানো টাকার রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট চাইতে গিয়ে।প্রবাসীদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি এবং সময় টিভির প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেন, ‘অনেক প্রবাসী দেশে বাড়ি-গাড়ি সব করেছেন প্রবাস জীবনের আয় দিয়ে। কিন্তু দেশে গিয়ে আয়কর ফাইল খুলতে গিয়ে ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে না পেরে আর আয়কর ফাইল করেন না অনেকে। প্রত্যেক প্রবাসীর দেশে নিজের বা আত্মীয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে কোনো না কোনো ব্যাংকে। প্রবাস জীবনের সকল আয় ঐ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টেই পাঠিয়ে থাকেন।’মঈন উদ্দিন সরকার সুমন আরও বলেন, ‘এখন বিদেশ থেকে পাঠানো প্রবাসীর টাকার হিসাব ব্যাংক দেবে। কারণ ব্যাংকে টাকা পাঠায় এবং ব্যাংক প্রতিবছর অ্যাকাউন্ট থেকে এসবের চার্জও কাটে। কিন্তু ব্যাংক রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দেবে না। কেন দেয়নি জানতে চাইলে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন অন্য ব্যাংক ভায়া হয়ে টাকা জমা হওয়ায় অ্যকাউন্ট যে ব্যাংকে সেই ব্যাংক রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট দিতে নারাজ।’উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি বলেন, ‘বিদেশে থেকে টাকা পাঠাতে গেলে প্রবাসীরা কুয়েতে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে দিনারের বিপরীতে টাকার মূল্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকে ভিন্ন রেট পেয়ে থাকেন। যে এক্সচেঞ্জ দিনারের বিপরীতে টাকার মূল্য বেশি দেয় সেখান থেকেই বেশিরভাগ প্রবাসী দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। কুয়েতের বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ দিনারের বিপরীতে বাংলাদেশে যে ব্যাংক টাকা বেশি দেয়, সেই দ্বিতীয় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকে।’‘যেমন কুয়েত থেকে দেশে এক্স ব্যাংকে কোনো প্রবাসী তার নিজের অ্যাকাউন্ট অথবা তার আত্মীয়-স্বজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে কুয়েতে কোনো একটি মানি এক্সচেঞ্জে গেলেন। এক্সচেঞ্জে গিয়ে ওই প্রবাসী দেখলেন সরাসরি এক্স ব্যাংকে টাকা পাঠালে কুয়েতের এক দিনারের বিপরীতে তিনি পাবেন ৩৯০ টাকা। অথচ দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে ওয়াই ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে কুয়েতের এক দিনারের বিপরীতে পাবেন ৪০০ টাকা। তিনি প্রবাসীরা বেশি মূল্য পেয়েছেন সেভাবেই পাঠিয়েছেন। এক্সচেঞ্জ থেকে দ্বিতীয় ব্যাংক হিসেবে ওয়াই ব্যাংকের মাধ্যমে ভায়া হয়ে রেমিট্যান্স হিসেবে ওই প্রবাসীর অ্যাকাউন্টে তা জমা হয়। যেভাবেই পাঠাক না কেন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে পাঠালে বৈধ এবং রেমিট্যান্স হিসেবে ওই প্রবাসীর অ্যাকাউন্টে তা জমা হয়।’ যোগ করেন এই প্রবাসী সাংবাদিক।ক্ষোভ প্রকাশ করে মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেন, ‘এক্স ব্যাংক থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট তোলা হলে সেখানেও দিন, তারিখ এবং টাকার পরিমাণসহ কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ফরেন কারেন্সি হিসেবে কুয়েত থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে সেটা স্পষ্ট লেখা থাকে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাইলে সহজেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দিয়ে দেয়। কোনো কারণে ওই প্রবাসী রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট চাইলে শুরু করে গড়িমসি। তখন তাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, আপনার টাকা আসছে ওয়াই ব্যাংকের মাধ্যমে, আপনি রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট তুলতে ওয়াই ব্যাংকে যান।’দেশে ব্যাংকে রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট চাইতে গেলে প্রবাসীদের ভোগান্তির অন্ত নেই। এই হয়রানি থেকে মুক্তি চায় তারা। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, প্রবাস জীবনে তারা দেশে যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান, সেই ব্যাংক সব তথ্য দেবে। তারা কেন টালবাহানা করে? এদিকে, রেমিট্যান্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার কারণে অনেক প্রবাসীই টিন সার্টিফিকেট থাকা সত্যেও আয়কর রিটার্ন দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এতে প্রতি বছর দেশও বড় একটি অংশের রাজস্ব হারাচ্ছে বলে মনে করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রবাসী সাংবাদিক মঈন সুমন।

এনটিভি ইউকের সিইও সাবরিনা হুসাইনের জন্মদিন পালিত
ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি : গতকাল ১২ নভেম্বর ছিল এনটিভি ইউরোপের সিইও এবং ডাইরেক্টর সাবরিনা হুসাইনের জন্মদিন।১২ নভেম্বর রাত বারোটার সোসাল মিডিয়ায়/ ফেইসবুকে এ্যালার্ট দেয়ার পর থেকে শতাধিক মানুষের আইডি থেকে সাবরিনা হুসাইনকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়।এনটিভি ইউকেতে কর্মরত সংবাদকর্মীরা, প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশি সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ কে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়।এনটিভি ইউকের ইতালির ভিচেন্সা প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন স্বপন , ভিচেন্সার স্থানীয় মেয়র, কাউন্সিলর, প্রবাসী বাংলা কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।আবার কেউ কেউ মোবাইল ফোনে ফোন করে ও ফুল নিয়ে দেখা করেও শুভ জন্মদিন এর শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছেন।১২ নভেম্বর এনটিভি ইউকে কার্যালয়ে কেক কেটে সাবরিনা হুসাইনের জন্মদিন পালন করা হয়।জন্মদিনের শুভেচ্ছায় শিক্ত এনটিভি ইউকের সিইও জানালেন তার অনুভূতির কথা। তিনি সকলের শুভেচ্ছা অভিনন্দন পেয়ে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করেন এবং সকলকে অন্তর ও অন্তরস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।

পাসপোর্ট নবায়নে প্রবাসীদের ক্ষোভ, দ্রুত সমাধান চায় মালয়েশিয়া বিএনপি
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) ও ই-পাসপোর্ট নবায়নে চরম জটিলতার কারণে ব্যাপক ভোগান্তি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।গতকাল (১১ নভেম্বর), মালয়েশিয়া বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় কুয়ালালামপুরের জি টাওয়ার হোটেলে।মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন এম মোজাম্মেল হক প্রধান। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। প্রধান বক্তা ছিলেন মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মালয়েশিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি তালহা মাহমুদ, ড. এস এম রহমান তনু, শাখাওয়াত হোসেন, আলমগীর হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি উল্লাহ জাহিদ, প্রচার সম্পাদক এস এম বশির আলম, দফতর সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম রতন, যুবদলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গির আলম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মন্ডল, সহ-দফতর সম্পাদক হাবিবুর রহমান শিশির ও সদস্য মো. জসিম উদ্দিনসহ আরো অনেকে।কেলাং, পেনাং, কেডাহ, ও অন্যান্য শহরের নেতারা বক্তব্য রাখেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, জাসাস নেতা শেখ আসাদুজ্জামান মাসুম, মো. ইসমাইল, যুবদলের রমজান আলী, নূরে সিদ্দিকী সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের হেলাল শিকদার ও মোশারফ হোসেন হৃদয়।অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, এর মধ্যে ছিলেন মির্জা খোকন, আব্দুল জলিল লিটন, মোয়াজ্জেম হোসেন নিপু, এম ফরহাদ হোসেন পলাশ, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মো. আরিফ হোসেন, এম এ কালাম, গোলাপ হোসেন, আফজাল হোসেন, মোহাম্মদ রাহুল, মো. সুমন বেপারি, এস কে আলম কাজি, মো. নুরজামান মুন্সি, মো. আজাদ উদ্দিন, নাজমুল হাসান, মারুফ এলাহী, গোলাম কবির, মাহফুজুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শাহ জালালজ এবং আরও অনেকে।শহীদ জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোর রূহের মাগফেরাত এবং খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন তালহা মাহমুদ।

মালয়েশিয়ায় পাচার হয়ে যাওয়া ৬ বাংলাদেশি উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। সোমবার (৪ নভেম্বর) সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং সেন্ট্রালে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা করা হয়।গোয়েন্দা ও স্পেশাল অপারেশন ডিভিশনের অভিযানে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দফতর মানব পাচার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত৩০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশিকেও গ্রেফতার করেছে।জেআইএম এক বিবৃতিতে বলেছে সিন্ডিকেট ভুক্তভোগীদের পর্যটক হিসেবে নিয়ে আসে। এরপর তাদেরকে নেয়া হয় একটি ‘ট্রানজিট হাউজে’।আরও জানানো হয়, সিন্ডিকেটটি প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে চার্জ ফি হিসেবে ১৫ হাজার রিঙ্গিত এবং ভুক্তভোগীকে ‘ট্রানজিট হাউজ’ থেকে ছেড়ে দেয়ার জন্য জনপ্রতি আরও ৫ হাজার রিঙ্গিত নিতো।উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা ১৮ থেকে ৪১ বছর বয়সী। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে মালাক্কার তানজুং ক্লিং-এর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
.jpeg)
ইতালিতে প্রবাসী যুবকদের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল
ইতালি: ইতালির থিয়েনে প্রবাসী বাংলাদেশি যুবকদের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) থিয়েনে বাইতুল মামুর জামে মসজিদ কমিটি ও যুব সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এ ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইতালিতে বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে ইসলামী মূল্যবোধ, ইসলাম সম্পর্কে ধারণা দেয়া এবং ওয়াজ এর মাধ্যমে দেশে যেভাবে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা হয় তারই আদলে যেন এ দেশের বেড়ে ওঠা ছেলে মেয়ের যেনো ইসলামী পথে চলতে পারে দ্বীন ও ইসলামের জ্ঞান আরোহন করতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় ৯ম বছরের আয়োজন ছিল এ ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল।বাংলাদেশের মত করে বাহিরে বিশাল বড় প্যান্ডেল সাজিয়ে এ ওয়াজের আয়োজন করা হয়।ছোট ছোট কচিকাঁচা বাচ্চাদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বাদ আসর অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয় এবং কোরআন প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী সকলের মাঝে করা হয় পুরস্কার বিতরণ।মাগরিবের নামাজ শেষে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের মূল পর্ব শুরু হয়।বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার ও অত্র মসজিদের সম্মানিত ইমাম মাওলানা ইসরাফিল সাহেবের যৌথ পরিচালনায় বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সম্মানিত সভাপতি সুলতান সরকারের সভাপতিত্বে মাওলানা ইসরাফিল সাহেবের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সম্মানিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করেন এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে হাফেজ মাওলানা জুবায়ের সাহেব মূল্যবান বয়ান শুরু করেন।ওয়াজ দোয়া মাহফিলে দ্বীন ও ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেন। উক্ত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ বক্তা হিসেবে আরো বয়ান করেন হযরত হাফেজ মাওলানা মুফতি আসাদ ফাহিম, ইসলামিক স্কলার শায়খ ইমরানী (মরক্কো) ইমাম খতিব বেরগামো জামে মসজিদ, ইসলামিক স্কলার শায়খ আদিল (ফিলিস্তিন)।ওয়াজ মাহফিলের শেষ অংশে প্রধান বক্তা শায়খ ডঃ মাহমুদুল হাসান যুক্তরাজ্য থেকে আগত যুক্তরাজ্য এনটিভির জীবন জিজ্ঞাসা প্রোগ্রামের আলোচক উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন। নিকটবর্তী কমিউনির মুসল্লীগণের পাশাপাশি আলতে, আরজিনিয়ানো, ভিছেন্সা, এসকিও, মালো, পিউভেনে, লুগো, জুলিয়ানো, সহ আশপাশের প্রভিন্স থেকে ও দ্বীনি মূল্যবান বয়ান শোনার জন্য অনেক মুসল্লিরা উপস্থিত হন।গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষে শায়খ ডঃ মাহমুদুল হাসান মুসল্লিদেরকে নিয়ে আল্লাহর দরবারে মোনাজাতে প্রবাসের মাটিতে যেন ছেলে সন্তানদেরকে ইসলামী পরিবেশে ইসলামী মূল্যবোধের বিশ্বাসী নেক সন্তান হিসেবে গড়ে তোলা যায় এবং নেক সন্তান হিসেবে আল্লাহ কবুল করেন সেজন্যে ও বিশ্বময় অস্থিরতা নিরসনে এবং ফিলিস্তিন-লেবানন ইয়েমেন নির্যাতিত ভাই-বোনদের জন্য সাথে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে সব অরাজকতা কাটিয়ে আল্লাহ যাতে সবাইকে শান্তির পথে রাখে শান্তির পথ দেখায় সেজন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে মোনাজাত করেন। মোনাজাত শেষে উপস্থিত সকল মুসল্লিদের জন্যে তবারক ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।সবশেষে মসজিদ কমিটি ও থিয়েনে বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার আগত অতিথি মুসল্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং একটি সফল ইসলামী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন থিয়েনে যুব সম্প্রদায়ের সকল স্বেচ্ছাসেবক দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের নিকট দোয়া চান যাতে একটি সুন্দর ইসলামী মূল্যবোধের সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা চালু করা যায়। সবার প্রতি পুনরায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান এর মন্তব্য ঘোষণা করেন। মসজিদের সভাপতি ও ওয়াজ দোয়া মাহফিলের সভাপতি করা সুলতান সরকার।

রেমিট্যান্স শাটডাউনের হুমকি দিল মালয়েশিয়া প্রবাসীরা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার খাস্তগীরকে প্রত্যাহারের দাবি এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসী অধিকার পরিষদ।বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ের এক রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।তারা বলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একদিনের নোটিশে এমআরপি পাসপোর্টের পরিবর্তে ই-পাসপোর্ট গ্রহণে বাধ্যতামূলক করা এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বন্ধ ঘোষণা করায় ফুঁসে উঠেছে মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রবাসীদের বিপদে ফেলে এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ কাদের সুবিধার্থে, সেই প্রশ্ন রাখতে চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।এ সময় রেমিট্যান্স শাটডাউনের হুমকিও দেন প্রবাসীরা। মালয়েশিয়ার থার্ড পার্টি অফিস ইএসকেএল এবং হাইকমিশনের কিছু কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এমন জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে সাধারণ প্রবাসীদের ক্ষেপিয়ে তুলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছেন দেশে-বিদেশে দায়িত্বে থাকা কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর বেশিদিন নেই প্রবাসীরাও এই সরকারের সমালোচনা শুরু করবে। যার অন্যতম কারণ এমআরপি পাসপোর্ট বন্ধ, জোরপূর্বক ই-পাসপোর্ট গ্রহণে বাধ্য করা এবং কৌশলে এমআরপি পাসপোর্ট ছাপা বন্ধ রাখা। এটি হতে পারে প্রবাসীদের খেপানোর কৌশল। তারা আরও বলেন, সঠিক সময়ে পাসপোর্ট না পেয়ে মালয়েশিয়ার বহু প্রবাসী অবৈধ হওয়ার পথে। যারা প্রথম ই-পাসপোর্ট বানাবে তাদের জন্য ই-পাসপোর্ট ঠিক আছে। কিন্তু প্রবাসীদের জন্য কৌশলে এমআরপি শর্টেজ দেখিয়ে ই-পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক করা প্রবাসী ও রেমিট্যান্স উভয়ের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বেমালয়েশিয়ায় পাসপোর্টের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন যাদের এনআইডি বা জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে এমআরপি পাসপোর্টের তথ্য মিল নেই। কারও বয়সের সঙ্গে বা নামের সঙ্গে নানাবিধ সমস্যা আছে তাহলে তাদের কী হবে! সুতরাং এই সরকারকে সফল হতে হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরসহ ওই সব সচিবদেরকে দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীরের পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ বাতিল হলেও তিনি এবং তার সহযোগীরা এখনও বহাল তবিয়তে আছেন হাইকমিশনে। তাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানাচ্ছি। তারা দীর্ঘদিন ধরে হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংকে একটি অকার্যকর ও অপ্রয়োজনীয় উইং প্রমাণ করে মিশন থেকে পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে পাসপোর্ট ও ভিসা সার্ভিস ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের আউট সোর্সিং প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।তারা আরও অভিযোগ করেন, খাস্তগীর সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠ যে কিনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে খুশি করতে কাজাং থানায় মামলা করেন এবং আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন।দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত লাখ লাখ প্রবাসীকে অবৈধ বানিয়ে ফেলবে এবং অবৈধ হয়ে গেলে দেশে রেমিটেন্সের ওপর বিরাট অংশে প্রভাব পড়বে।বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়ায়ও প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউনের ঘোষণা করে তা বন্ধ রেখেছিল। ডিআইপির এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে আবারও মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা রেমিটেন্স শাটডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না।একই সঙ্গে দ্রুত ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছেন তারা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি শাহাজান মিথুন, মো. জাহিদ হাসান, সহ-সভাপতি ফয়সাল শেখ, সহ-সভাপতি আমির হোসেন, সহ-সভাপতি মবিন, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, অর্থ সম্পাদক শিমুল শেখ প্রমুখ।

পুরুষকে মারধরের অভিযোগে কুয়েতে বাংলাদেশি নারী গ্রেপ্তার
কুয়েতে একজন পুরুষকে রুমের মধ্যে হাত বেঁধে লাঞ্ছিত ও নির্যাতনের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পরে আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জনসংযোগ ও নিরাপত্তা মিডিয়া বিভাগ।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এক পুরুষকে মারধর করতে দেখা যায় ওই নারীকে। এর জেরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পিছমোড়া করে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে এক পুরুষকে মারধর করছেন বাংলাদেশি এক নারী। এমনকি নির্যাতনের শিকার ওই পুরুষের মুখও কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।এ সময় ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, রানী কিং খান, কে আমি বল? কে আমি? বল কিং খান, ভিডিও কর... এই রকম মারছে আমাকে, ৩৫ বছরের সংসার। পাশ থেকে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, মাইরেন না।তবে কী কারণে বাংলাদেশি নারী ওই পুরুষকে এভাবে মারধর করছেন সে বিষয়ে জানা যায়নি।এ ঘটনাকে কুয়েতের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন দেশটির প্রশাসন। এর আগে এমন ঘটনা দেশটিতে আগে কখনো প্রকাশ পায়নি। ঘটনাটিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বার্লিনে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
দলীয় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সফলতার ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (২৮ অক্টোবর) নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বার্লিন যুবদল।বার্লিনের যুবদল সভাপতি আসিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ইফতি সোহাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকো, দলের প্রয়াত সকল নেতৃবৃন্দসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও দেশের সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করা হয়।শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন যুবদল নেতা আবু তাহের।পরে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জার্মান বিএনপির সিনিয়র উপদেষ্টা হামিদুল ইসলাম হেলাল, জার্মান বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ মাস্টার, সিনিয়র শীর্ষ নেতা আবু হানিফ, জার্মান স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাঈদুর রহমান সাঈদ, বার্লিন বিএনপির সভাপতি জসিম সিকদার, বার্লিন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল বেপারি ছাড়াও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ বার্লিন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল চৌধুরী, সিনিয়র যুবদল নেতা সোহেব আহম্মেদ, জামান মিয়া, সিরাতুল মোস্তাকিম আজম, আবু তাহের, শাহাদাত রাকিব, রুবেল ও নাসিরসহ দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে দলটির নেতাকর্মীসহ আরো অনেকেই ছিলেন উপস্থিত।এসময় বক্তারা বার্লিন যুবদলের এমন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, শুধু বার্লিন নয়, গোটা জার্মানির যুবদলের মধ্যে ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। কারণ শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া যুবদলই দেশের আগামীর ভবিষ্যৎ।একইসাথে সদ্য বিদায়ী ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যাবহার করে লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতি আর উন্নয়নের নামে আর কোনদিন ভাঁওতাবাজি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এবং সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে সে কারণে প্রবাস থেকেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।

শহর পরিচ্ছন্ন করে ইতালিতে প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশিরা
ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি থেকে : ইতালির ভিচেন্সায় শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের উদ্যোগ নিয়ে প্রশংসায় ভাসছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।গত রোববার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির উদ্যোগে শহরের পথঘাট পরিষ্কার করেন প্রবাসীরা। প্রবাসীদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয়রাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।রোববার (২৭ অক্টোবর) শহরের মেইন পয়েন্ট, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন প্রবাসীরা৷ তাদের এই উদ্যোগকে ভূয়সী প্রশংসা করেছে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন, ইতালিয়ান নাগরিকরা। শহর সুন্দর করার উদ্যোগে স্থানীয় মেয়রের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।জানা গেছে, ১৬ অক্টোবর ভিচেন্সা কমুনের vicesindaco - isabella sala এর উপস্তিতিতে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির সদস্যবৃন্দর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ভিচেন্সা কমুনেকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে ভিচেন্সায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। বাংলাদেশিদের সকল প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মেয়রের প্রতিনিধি দলটি।ভিচেন্সায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের শহর পরিষ্কারে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি ভিচেন্সা সিটির প্রধান উপদেষ্টা আফিল উদ্দিন, সংগঠনটির সভাপতি এমদাদুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি শেখ, প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলী, দপ্তর ও আইন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হুসেন বাবলু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, ক্রীড়া সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, সহসাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন, সহ ক্রীড়া সম্পাদক মনজুর রহমান, কার্যকরী পরিষদ সদস্য বিজয় বেপারী।এছাড়াও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এই সুন্দর উদ্যোগে অংশ নেয়।

ইউরোপীয়ান বাংলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আংশিক কমিটি ঘোষণা
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইউরোপে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সংবাদিকদের নিয়ে ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া হতে সরকারী ভাবে রেজিষ্ট্রেশন করা সাংবাদিক সংগঠন ইউরোপীয়ান বাংলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর ভার্চ্যুয়াল সভা গত ১৭ ই অক্টোবর রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে ইউরো বাংলা টাইমস এর প্রকাশক ও সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ( অস্ট্রিয়া ) কে প্রধান উপদেষ্টা , চ্যানেল আই এর হাবিবুর রহমান হেলাল ( জার্মানি ) যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার এসকে এমডি জাকির হোসেন সুমন ( ইতালি ) কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি আগামী দুই বছর মেয়াদের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় । সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত এর মধ্য দিয়ে শুরু করা হয়। অস্ট্রিয়া হতে প্রবীন সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও গ্রিস হতে জহিরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সভায় পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন , ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা ও করনিয় সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। সে সময় সংগঠন কে এগিয়ে নিতে নানা বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিকরা।

লন্ডনে শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব
লন্ডনে আনন্দঘন পরিবেশে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অর্ধ শতাধিক শিল্পীদের অংশগ্রহণে বাউল শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করে আরিয়ান ফিল্ম এবং গ্লোব টিভি।অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ইউকে বিডি টিভির কালচারাল ডিরেক্টর ও উৎসব কমিটির সচিব হেলেন ইসলাম, সুপ্রভা সিদ্দিকী, হাফসা ইসলাম, শেখ নুরুল ইসলাম এবং মতিউর রহমান তাজ।উৎসবে অর্ধ শতাধিক শিল্পীদের পরিবেশনায় বাউল শাহ আব্দুল করিমের গান, জারি, সারি, ভাটিয়ালী গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও বাউল শাহ আব্দুল করিমের জীবনী নিয়ে প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে’, ‘বন্ধুরে কই পাব সখী গো’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’, ‘তুমি বিনে আকুল পরাণ’সহ এই শিল্পীর জনপ্রিয় অন্যান্য গান গাওয়া হয় অনুষ্ঠানে। উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল, পিঠা, কাপড়, জুয়েলারি, মেহেদী, ফটো ফ্রেমসহ রকমারি স্টলে ছিল উপচে পড়া ভিড়।অনুষ্ঠানে লোক উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে লন্ডনের সামাজিক সাংস্কৃতিক, ও কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন- আনোয়ার চৌধুরী, আহবাব হোসেন, আলাউর রহমান, শেখ আলীউর রহমান, সিরাজ হক, জ্যোৎস্না ইসলাম, আকলু মিয়া, মাহি ফেরদৌস জলিল ও তাজরুল ইসলাম তাজ।উৎসবমুখর এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী, ব্রিটেনের নিউহ্যাম কাউন্সিলের চেয়ার রহিমা রহমান, লন্ডন বার্কিং অ্যান্ড ডেগেনহ্যাম কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার মঈন কাদরি, টাওয়ার হ্যামলেটেসের সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, প্রবাসের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাকাউন্ট্যান্ট মাহমুদ এ রউফ, কমিউনিটি লিডার সিরাজ হক, রেডব্রিজ কাউন্সিলের সাবেক মেয়র জ্যোৎস্না ইসলাম, চ্যানেল এস এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান মাহি ফেরদৌস জলিল, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার মোহাম্মদ মকিস মনসুর, কবি মুজিবুল হক মনি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আখলু মিয়া, কাউন্সিলর সাম ইসলাম, কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান চৌধুরী, কাউন্সিলর মুজিবুর রহমান জসিম ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম ইউকের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ শাফি কাদিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কবি আসাদ চৌধুরী স্মরণে কানাডায় সভা অনুষ্ঠিত
কানাডায় কবি আসাদ চৌধুরী স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কানাডার স্কারবরোর কপিং রোডে কবির চলে যাওয়ার দিনটি স্মরণ করে তার স্বজন ও ভক্তদের কথায়, কবিতায়, সঙ্গীতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে কবিকে স্মরণে আবৃত্তিকার ও সংগঠক হিমাদ্রী রায়ের সঞ্চালনায় সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন মৈত্রেয়ী দেবী ও শিখা আখতারি আহমাদ।কবির কর্ম নিয়ে আলোকপাত করেন কবি দিলওয়ার এলাহী। সাংস্কৃতিক সংগঠক আরিয়ান হক নজরুল রচিত ভক্তিগীতির পরিবেশনায় স্মৃতিচারণ করেন সেলিনা সিদ্দিকী, কথা সাহিত্যিক সালমা বাণী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসমা আহমেদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক শাপলা শালুক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমিন মিয়া, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুমন রাহমান, কবি কন্যা নুসরাত জাহান চৌধুরী ও কবি পুত্র আসিফ চৌধুরী।কবি আসাদ চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম ও 'মানুষ' আসাদ চৌধুরীর উপর দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন কবি দিলারা হাফিজ এবং কবিকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। তিনি কবিপত্নী কবি সাহানা চৌধুরীকে সবার উদ্দেশ্যে কিছু বলতে বলেন। কবি দেলওয়ার এলাহী কবি দিলারা হাফিজকে সভানেত্রী মনোনীত করে কবি আসাদ চৌধুরী স্মৃতি পর্ষদের ঘোষণা দেন। শহরের সবাইকে নিয়ে এর পরিধি বাড়িয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যাশা করেন।কবি পরিবার ও উপস্থিত ভক্তরা তা সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেন। আলোকিত উপস্থিতি ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক ফাইজুল করিম ও জাকির হোসেনের। হাস্যোজ্জ্বল উপস্থিতিছিল আবৃত্তিকার দিলারা নাহার বাবু ও এলিনা মিতার। ছিলেন কবির প্রিয় মুখ রতন রায়, গৌতম শিকদার, গ্যারী ক্রিস্টোফার রোজারিও। শিখা আখতারি ও আসিফ চৌধুরীর সঙ্গীতে মধ্যরাতে সব কবি ভক্ত তাদের স্পন্দনে কবি আসাদ চৌধুরী উপস্থিতি নিয়ে ঘরে ফেরেন।

মালয়েশিয়ায় একদিনে বাংলাদেশিসহ ৬০২ জন্য অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার
২১৪ বাংলাদেশিসহ ৬০২ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। কসমো অনলাইন ও সিনার হারিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় সেলাঙ্গর রাজ্যে একটি সমন্বিত অভিযানে এই অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।অভিযানে ১ হাজার ৯১ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এদের মধ্যে থেকে বৈধ কাগজপত্রহীন ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সী অন্তত ৬০২ (নারী-পুরুষ) অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্য স্টার অনলাইনকে সেলাঙ্গর মন্ত্রী দাতু সেরী আমিরুদ্দিন সারি বলেছেন, গ্রেপ্তার ৬০২ জনের মধ্যে ২১৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী বাংলাদেশি।যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন এবং আলজেরিয়ার নাগরিক রয়েছেন। অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩ এবং ব্যক্তি পাচারবিরোধী এবং অভিবাসী চোরাচালান আইন ২০০৭ এর অধীনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মন্ত্রী আরও বলেন, এই এলাকায় বিদেশিদের উপস্থিতির প্রবণতা দেখে গত মার্চ থেকে অপারেশনাল প্ল্যানিং করা হচ্ছিল। প্রাথমিক ফলাফল বিস্ময়কর ছিল। ১ হাজার ৯১ জন বিদেশির মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি ছিলেন অবৈধ অভিবাসী। তারা পাসপোর্ট বা ব্যক্তিগত কাগজপত্র রেখে পালানোর জন্য বিভিন্ন কারণ দেখায়, কেউ কেউ বলে যে তারা প্রতারিত হয়েছে।যেখানে বিদেশিরা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন সেসব জায়গায় অভিযান চলবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

কানাডায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহালয়া উদযাপন
কানাডায় মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার পুণ্যলগ্ন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সাউথইস্টের নিজস্ব মন্দির ভবনে এ অনুষ্ঠান হয়। সনাতনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এদিন থেকেই দেবীপক্ষের শুরু। মূলত দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনাও শুরু এদিন থেকে।শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পুরান মতে, এদিন মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান দেবী দুর্গা। চন্ডিপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন করছেন ভক্ত-অনুসারীরা। মহালয়ার পর আগামী ১২ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। ১৪ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব। উল্লেখ্য, বরাবরের মতো এ বছর ও কানাডার ক্যালগেরিতে ‘ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ’, ‘আমরা সবাই’ ও ‘বাংলাদেশ পূজা পরিষদ’ পৃথক পৃথকভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করবেন।সব ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা চিন্তা করে ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ এবারের দুর্গাপূজার আয়োজন করছে ‘হাইউড সেন্টার’ হাই রিভারে।চন্ডিতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও প্রশস্তি। দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীকরূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।মহালয়ার আরও একটি দিক হচ্ছে, এই তিথিতে যারা বাবা-মা ছাড়া তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকেই বলা হয় মহালয়া।