আমির হামজার ওপর হামলার অভিযোগ

রাজধানীর জুরাইন সেতু মার্কেটে রিকশাচালকের কাছে চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করায় ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কদমতলী থানা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি আমির হামজার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, একদল বখাটে রিকশাচালকের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা রিকশাচালককে মারধর করেন। প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে আসার কারণে মুফতি আমির হামজার ওপরও হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসীরা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জুরাইন সেতু মার্কেটে রিকশাচালকের সঙ্গে চাঁদাবাজি চালানো হয়। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোর ফলে মুফতি আমির হামজার ওপর হামলা হয়। এতে তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের পর সারা দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের উত্থানের চেষ্টা চলছে। এখনই তাদের রুখে দিতে হবে, না হলে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।”

মাওলানা মাদানী প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জুরাইনের হামলার ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা উচিত। মঙ্গলবারের ঘটনাকে আমরা সাধারণভাবে দেখছি না; এটি দেশের একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক অংশ। দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে তাদের শক্ত জবাব দেবে, ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও জানান, ঘটনার রাতেই শ্যামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।