ইয়াবার বিনিময়ে দেশ থেকে সার ও ওষুধ পাচার হয়: কৃষি উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৪৩ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আরাকান আর্মি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত এবং সেই ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে সার, ওষুধ ও চাল পাচার হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের কার্যক্রম ও অগ্রগতি তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “আরাকান আর্মিরা ইয়াবার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে সার, ওষুধ, চাল পাচার হয়। এজন্য আমরা নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি যেন কোনোভাবেই এই পাচার না ঘটে।”
দেশে সার সরবরাহ নিয়ে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। সম্ভাব্য সংকট এড়াতে আগামী অর্থবছরের জন্য আমদানি প্রক্রিয়াসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, “সার সরবরাহ ব্যবস্থায় পূর্বের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সারের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না। অন্তত আমি দায়িত্বে থাকা পর্যন্ত সারের দাম বাড়বে না।”
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, উচ্চমূল্যে জ্বালানি কিনে সার উৎপাদন করলেও এর দাম বাড়ানো হবে না। পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারি চালানো হবে। তিনি জানান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) বিএডিসিকে সার ক্রয়ের জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি ইতোমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বালাইনাশক বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে।
গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয় ২,৬৪৬.১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এছাড়া ৩টি প্রকল্প পরিমার্জন এবং ২টি বাতিল করা হয়েছে।
কৃষি উপদেষ্টা কঠোর সতর্কবার্তাও দেন। তিনি বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। দুই ফসলী বা তিন ফসলী জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি নেই। কৃষি জমি রক্ষায় কঠোর বিধান রেখে ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ন চলছে।”