সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন হতে পারে বিতর্কিত: ড. বদিউল আলম
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:২৯ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এরপর ১৪ আগস্ট ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এক ছায়া সংসদে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন হলে- তা বিতর্কিত হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।”
তবে তিনি নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা নাকচ করে দিয়ে বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি।”
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। এজন্য রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় থাকবে। তবে তিনি সতর্ক করেন, “রাজনৈতিক দলসমূহ যদি হুণ্ডা-গুণ্ডা ও টাকার খেলায় মত্ত থাকে, তাহলে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়।”
তিনি আসনভিত্তিক ও আনুপাতিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে বলেন, “বর্তমান আলোচনায় নিম্নকক্ষ আসনভিত্তিক আর উচ্চকক্ষ আনুপাতিক পদ্ধতিতে গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।”
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, “নির্বাচনের প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলো এখনো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। জুলাই সনদ চূড়ান্ত না হওয়া এবং সনাতন নাকি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে- তা নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে।” তিনি আরও বলেন, ঘোষিত সময়ে নির্বাচন না হলে দেশ ভয়াবহ সংকটে পড়তে পারে।
ছায়া সংসদের বিতর্কে ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই প্রধান’ শীর্ষক বিষয়ের ওপর বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এসএম মোর্শেদ, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, জাকির হোসেন লিটন এবং মো. হুমায়ূন কবীর। প্রতিযোগিতা শেষে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।