বুঝে নিন মানসিক অবসাদ ও ডায়াবেটিসের সম্পর্ক
- লাইফস্টাইল ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:২২ এম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

আমরা প্রায়ই শরীরের অসুখ আর মানসিক সমস্যাকে আলাদা করে দেখি। কিন্তু বাস্তবে শরীর ও মনের স্বাস্থ্য একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। আবার দীর্ঘ সময় ধরে অবসাদে থাকা মানুষদের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
তবে আশার কথা হলো—এই দুটি সমস্যা পরস্পর সম্পর্কিত হওয়ায়, একটির চিকিৎসা করলে অন্যটিরও উপকার হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে মন ও শরীর একে অপরকে প্রভাবিত করে।
ডায়াবেটিস থেকে মানসিক উদ্বেগ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ শুধু শারীরিক কষ্টই বাড়ায় না, মানসিক চাপও তৈরি করে। নিয়মিত ওষুধ খাওয়া, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও দৈনন্দিন সতর্কতা মানসিকভাবে ক্লান্ত করে তোলে। অনেকেই এর ফলে অবসাদে ভোগেন।
হঠাৎ অভ্যাস পরিবর্তনে মানসিক চাপ
ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর খাবার, জীবনযাপন ও অভ্যাসে বড় পরিবর্তন আনতে হয়। এই পরিবর্তন অনেকের জন্য মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, যা থেকে মানসিক উদ্বেগ ও হতাশা জন্ম নিতে পারে।
মানসিক চাপের প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
অবসাদ বা মানসিক চাপ শরীরের কর্টিসলসহ কিছু হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন বেড়ে গেলে রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়তে থাকে, ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায়।
অবসাদে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষ প্রায়ই ধূমপান, মদ্যপান বা অনিয়মিত খাবার অভ্যাসে জড়িয়ে পড়েন। অনেকেই শরীরচর্চা বন্ধ করে দেন। এসব আচরণ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা আরও বাড়ায়।
যেহেতু ডায়াবেটিস ও মানসিক অবসাদ একে অপরের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, তাই শুধু শারীরিক চিকিৎসাই নয়—মনকেও যত্ন দেওয়া জরুরি।
নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, এবং প্রয়োজনে মানসিক পরামর্শ নেওয়া—সব মিলিয়ে জীবনযাপনকে সুস্থ ও নিয়ন্ত্রিত রাখাই এই দুই রোগ মোকাবিলার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
সূত্র: American Diabetes Association – Diabetes and Mental Health