এই ৪ টি প্রশ্ন জানাবে, আপনি সত্যিই সঠিক সঙ্গীর সঙ্গে আছেন কিনা


এই ৪ টি প্রশ্ন জানাবে, আপনি সত্যিই সঠিক সঙ্গীর সঙ্গে আছেন কিনা

সম্পর্কের শুরুতে সবকিছু মধুর মনে হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে যখন আবেগ একটু স্থিত হয়, তখন অনেকেই ভাবতে শুরু করেন; আমি কি সত্যিই সঠিক মানুষের সঙ্গে আছি? এই সম্পর্ক কি শান্তি দিচ্ছে, নাকি শুধু ক্লান্তি বাড়াচ্ছে?

মনোবিজ্ঞানীরা মনে করান, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় নিজের অনুভূতির মধ্যে। সম্পর্কের মূল্যায়ন করতে কাউকে দোষারোপ করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করা জরুরি।

নিচের চারটি প্রশ্নের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার সঙ্গী কি সত্যিই উপযুক্ত।

আপনি কি নিজের কথা খুলে বলতে পারেন?
একটি সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি হলো মানসিক নিরাপত্তা। যদি আপনি নিজের চিন্তা, অনুভূতি বা দুর্বলতা সঙ্গীর সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে ভাগ করতে না পারেন, তাহলে এটি সতর্কবার্তার ইঙ্গিত। সঠিক সম্পর্ক সেই যেখানে আপনার কথা শুনে কেউ আপনাকে ছোট করবে না, উপেক্ষা করবে না বা ব্যঙ্গ করবে না। এই মানসিক নিরাপত্তা থাকলে ভালোবাসা গভীর এবং টেকসই হয়।

আপনার সঙ্গী কি সত্যিই সদয়?
মানুষের প্রকৃতি বোঝা যায় তার অন্যদের সঙ্গে আচরণ দেখে। রিকশাচালক, দোকানদার বা ওয়েটারের সঙ্গে সে কেমন আচরণ করে? রাগের মুহূর্তে নিজেকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ঝগড়ার মধ্যেও সম্মান ও দয়া বজায় রাখেন, তাদের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই লক্ষ্য করুন, আপনার সঙ্গী কি শুধু ভালো সময়ের সাথী, নাকি কঠিন সময়েও পাশে থাকেন।

সম্পর্কে এসে আপনি কেমন বদলেছেন?
একটি সুস্থ সম্পর্ক মানুষকে আত্মবিশ্বাসী ও প্রাণবন্ত করে তোলে। কিন্তু যদি সম্পর্কের কারণে আপনি নিজের পছন্দ হারাচ্ছেন, নিজেকে ছোট মনে করছেন বা মতামত প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন, তা সতর্কতার সংকেত। ভালোবাসা মানে কাউকে বদলানো নয়, বরং একে অপরকে নিজের সেরা রূপে পৌঁছাতে সাহায্য করা।

আপনি কি তার সঙ্গে ভবিষ্যত গঠন করতে চান?
মনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, আপনি কি এই সঙ্গীর সঙ্গে ভবিষ্যতের ছবি কল্পনা করতে পারেন? পরিবার গঠনের ধারণা থেকে বোঝা যায় আপনার তার প্রতি আস্থা কতটা।

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যাদের মধ্যে ভবিষ্যত নিয়ে একই প্রত্যাশা ও দায়িত্ববোধ থাকে, তাদের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী ও দৃঢ় হয়।

সম্পর্ক শুধুমাত্র ভালোবাসা নয়, এটি নিজেকে আরও ভালোভাবে জানার একটি পথ। এই চারটি প্রশ্ন আমাদের শেখায়, সত্যিকারের সম্পর্ক হলো সেই, যেখানে আপনি নিজের মতো বাঁচতে পারেন, বৃদ্ধি পাচ্ছেন এবং নিজের প্রকৃত স্বরূপ খুঁজে পাচ্ছেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×