ইসরায়েলকে মোকাবেলা করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৫৭ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
লেবাননের আরব-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন দেশের সেনাবাহিনীর কাছে যেকোনো ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশ ও হামলার কারণে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এই নির্দেশ জারি করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের শেষের দিকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লেবাননের প্রথম পদক্ষেপ।
গত রাতে দক্ষিণ লেবাননের ব্লিদা শহরে একটি পৌরসভা ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায় এবং একজন সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আউন এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং এটিকে “ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিক প্যাটার্নের অংশ” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, পৌরসভা ভবনটি বেসামরিক আড়ালে হিজবুল্লাহর কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।
হিজবুল্লাহও ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে আউনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং তাদের প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আগস্টে লেবাননের আরব-সমর্থিত সরকার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করে যা সমস্ত অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্য রাখে। তবে হিজবুল্লাহ এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ লেবাননের দখলকৃত পাঁচটি সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে ইসরায়েলি সেনারা না প্রত্যাহার করা পর্যন্ত তারা অস্ত্র নিজেদের হাতে রাখবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর হিজবুল্লাহর উপরও আক্রমণ চালানো হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের পর লেবাননে ৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৭ হাজার আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সই হয়। তবে আগামী জানুয়ারিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের কথা থাকলেও তারা কেবল আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহার করেছে এবং পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে।