গাজায় নতুন উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েল সম্পূর্ণ দায়ী, অভিযোগ হামাসের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৫৬ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
গাজা উপত্যকায় আবারও সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলকেই সম্পূর্ণভাবে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও টানা ইসরায়েলি বিমান হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর এমন অভিযোগ জানায় সংগঠনটি।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা ইসরায়েলকে গাজায় কোনো ‘নতুন বাস্তবতা’ চাপিয়ে দিতে দেবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “হামাস নিশ্চিত করছে, এই বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য; এর ক্ষেত্র ও রাজনৈতিক পরিণতির জন্য এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নাশকতার চেষ্টার জন্য (ইসরায়েলি) দখলদারিত্ব সম্পূর্ণ দায়ী।”
সংগঠনটি জানায়, প্রাণঘাতী হামলার পরও তারা যুদ্ধবিরতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। হামাস মধ্যস্থতাকারীদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগের রাতে, মঙ্গলবার, গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এটি ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার আওতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে হামাস।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাফায় তাদের বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর প্রতিশোধ হিসেবেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তবে হামাস ওই ঘটনায় নিজেদের কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে, আর আহত হয়েছে এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন।
চলতি বছরের শুরুতেও একবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় আলাদা ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি শুরু করে। এই সিদ্ধান্তের পর অঞ্চলটিতে মারাত্মক খাদ্যসংকট দেখা দেয়। খাদ্য সংগ্রহে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে তখন শত শত মানুষ নিহত হন, যার মধ্যে শিশু ও নারীও ছিলেন।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।