যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না মস্কো
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৫৯ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন, মস্কো কখনোই মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার অর্থনীতিতে “কিছু ক্ষতি” করতে পারে।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওইল এবং তাদের প্রায় ৩ ডজন সহপ্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতি দুর্বল করা এবং ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। নিষেধাজ্ঞা প্রক্রিয়াটি যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাম্প্রতিক পদক্ষেপের সঙ্গে সমন্বিতভাবে নেওয়া হয়েছে। ঘোষণার পরেই বৈশ্বিক তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে, ইইউ রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের দুটি বৃহৎ তেল পরিশোধনাগারও জোটের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রভাব দেখা দিয়েছে রাশিয়ার প্রধান ক্রেতা দেশগুলোতেও। ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, তারা রুশ তেল আমদানিতে “পুনঃসমন্বয়” করছে। চীনের কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিও নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়িয়ে সাময়িকভাবে রুশ তেল কেনা বন্ধ রেখেছে।
এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের একটি ড্রোন মস্কোর উপকণ্ঠ ক্রাসনোগর্স্কে আবাসিক ভবনে আঘাত হানে, এতে এক শিশুসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার রাতে ১১১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। একই সময়ে, রুশ গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের খেরসন শহরে দুজন নিহত এবং অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উভয় নেতা ইউরোপীয় ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।