এবার বংশালে প্রেমিকার বাড়ি থেকে তরুণের লাশ উদ্ধার


এবার বংশালে প্রেমিকার বাড়ি থেকে তরুণের লাশ উদ্ধার

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় এক তরুণের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রেমিকার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৯ বছর বয়সী সজিব নামের এক যুবকের মরদেহ। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তাকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে বংশাল আগামাসি লেনের ৯৩/১ নম্বর বাড়িতে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক জানান, “বিকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রথমে মৃতদেহটি অজ্ঞাত ছিল, পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “মরদেহের গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। ওই বাড়ির চারতলায় একটি পরিবার বসবাস করত, বাকি অংশটি গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল।”

এসআই দুলাল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সজিবকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।

নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম জানান, সজিব বংশাল আগামাসি লেনের বাসিন্দা এবং আহমেদ বাউনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল, তবে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলীগের সাথে দোহারে গিয়েছিল এবং শুক্রবার বাসায় ফিরে আসে। শনিবার দুপুরে একটি ফোন কল পাওয়ার পর বিকেল ৩টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। “বিকালে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে,” বলেন তিনি।

তিনি আরও জানান, যে বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটিই সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাড়ি। খাদিজার বাবা নেই, এবং ঘটনার পর থেকে পরিবারের কেউ নিখোঁজ। ছয় বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যদিও মাঝে একবার বিচ্ছেদ ঘটে। ইসলাম বলেন, “খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না।”

পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলেই সজিবকে হত্যা করে থাকতে পারেন। পুলিশ বলছে, ঘটনার সব দিক বিবেচনায় তদন্ত এগিয়ে চলছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×