যে কারণে সুশীলা কার্কিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বানাল জেন-জি


যে কারণে সুশীলা কার্কিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বানাল জেন-জি

নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি ইতিহাস সৃষ্টি করে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সুশীলার অনুরোধে প্রেসিডেন্ট পরবর্তীতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। আগামী বছরের মার্চে নতুন সাধারণ নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার কেপি শর্মা অলি প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কার্কির নাম প্রস্তাব করে গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া নেপালের জেন-জিরা।

কেন সুশীলা কার্কি?

২০১৬ সালে তিনি নেপালের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মাত্র এক বছর এই পদে থাকলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান দেখান। এ কারণে তৎকালীন সরকার তাকে অভিসংশনের চেষ্টা করেছিল। তবে সাধারণ মানুষ তার পাশে দাঁড়িয়ে বিচারবিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে রাস্তায় আন্দোলন চালায়। সরকার চাপে পড়ে অভিসংশনের চেষ্টা স্থগিত করে। ২০১৭ সালে সুশীলা নিজেই পদত্যাগ করেন। তার কঠোর নীতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান তাকে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে এল ভান্ডারি রয়টার্সকে বলেছেন, “সুশীলা অভিসংশনের মুখে পড়েছিলেন, কিন্তু তার নীতি থেকে কখনো সরেননি। নেপালের অচলাবস্থা নিয়ন্ত্রণে তিনি সবচেয়ে ভালো চয়েজ।”

তবে রাজনীতি বা সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতার অভাব থাকায়, সুশীলাকে কার্যকরভাবে সরকার চালাতে শক্তিশালী একটি দল গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তার সাবেক সহকর্মী দিপেন্দ্র ঝা।

সূত্র: রয়টার্স

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×