গাজায় আকাশপথে খাবার-ওষুধ পাঠানোর উদ্যোগ ফ্রান্সের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৪১ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫

গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ের মুখে এবার আকাশপথে খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স। ইসরায়েলের অবরোধে ক্ষুধার্ত ও বিপন্ন অবস্থায় থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য এ মানবিক সহায়তা পাঠানো হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে একটি ফরাসি কূটনৈতিক সূত্র। খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
জাতিসংঘের অনুমোদিত বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের গাজা দ্রুত দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এদিকে, আন্তর্জাতিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা আইপিসি (ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন) জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অঞ্চলটিতে ব্যাপক অপুষ্টি, রোগবালাই ও ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর হার বাড়ছে বলে সংস্থাটি জানায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের ২২ মাসে গাজার খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে গত এক সপ্তাহে এই উদ্বেগ আরও তীব্র হয়েছে।
ফরাসি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, গাজার সাধারণ মানুষের মৌলিক ও জরুরি চাহিদা মেটাতে আকাশপথে ত্রাণ ফেলার প্রস্তুতি নিয়েছে ফ্রান্স। ত্রাণ বিতরণের সময় গাজার নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
তবে আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহকে কোনোক্রমেই স্থলপথে নিয়মিত ত্রাণ প্রবেশের কার্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না বলে সতর্ক করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। তারা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য সীমান্তের সব ক্রসিং পয়েন্ট দ্রুত খুলে দিতে হবে।
সূত্রটি আরও জানায়, “ফ্রান্স স্থলপথেও ত্রাণ পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে, কারণ এটি সবচেয়ে কার্যকর ও স্থায়ী পন্থা। এই পথে বড় আকারের মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে গাজায় পাঠানো সম্ভব।”
বিশ্বের বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজার ২০ লাখেরও বেশি মানুষের মধ্যে তীব্র খাদ্যাভাব ছড়িয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি ইসরায়েল কিছু সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢুকতে দিয়েছে।
এদিকে, সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ জানিয়েছেন, জার্মানি জর্ডানের সঙ্গে যৌথভাবে গাজায় আকাশপথে ত্রাণ পাঠাবে। এই উদ্যোগ ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি জানান।
সূত্র: এএফপি