ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ফের ইউনেস্কো ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:২৭ পিএম, ২২ জুলাই ২০২৫

আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি বড় পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র। ইউনেস্কো থেকে ফের সদস্যপদ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি, সংস্থাটির ওপর পক্ষপাত ও বিভাজনের অভিযোগ তুলে।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থাটি ‘ইসরাইলবিরোধী পক্ষপাতদুষ্ট’ ও ‘বিভাজনমূলক আচরণে’ লিপ্ত রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘বর্তমানে ইউনেস্কোতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ আর আমাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ তিনি আরও জানান, সংস্থাটি একটি ‘বিশ্বায়নবাদী ও মতাদর্শিক এজেন্ডা’ অনুসরণ করছে এবং অত্যাধিকভাবে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
ব্রুস ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তার ভাষায়, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিপন্থী এবং ইউনেস্কোর মধ্যে ইসরাইলবিরোধী বার্তার বিস্তার ঘটিয়েছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তটি আগেই অনুমেয় ছিল। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে জো বাইডেন প্রশাসনে দেশটি আবার সদস্যপদ ফিরে পায়।
এই ঘটনা অবশ্য পুরোপুরি নতুন নয়। ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান ইউনেস্কোকে ‘সোভিয়েতপন্থী ও দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দিয়ে প্রথমবারের মতো সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। পরে জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে সদস্যপদ পুনরায় ফিরে পায় দেশটি।
বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণে ইউনেস্কোর অবদান বরাবরই প্রশংসিত। সংস্থাটি অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, আফ্রিকার সেরেঙ্গেটি, এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস এবং মিসরের পিরামিডসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে আসছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইউনেস্কোর এসব ইতিবাচক কার্যক্রমের আড়ালেও সংস্থাটি রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং বিতর্কিত অবস্থান গ্রহণ করছে, যা আর মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছে ওয়াশিংটন।