লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৬
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:৩৬ এম, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

যাত্রীবাহী বাস কাউন্টারের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে যুবদলের দু'গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর জেলা শহরের ঝুমুর ও মটকা মসজিদ এলাকায় দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল কাদের, মিজান মোল্লা, ফরহাদ, শুভ, রাকিব, মো. দিপু, রাফি, রাতুল, শিপু ও নাঈমসহ ১৬ জন।
আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের মাথা ফেটে যায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নোয়াখালীর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহত কাদের ও মিজানকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তারেক ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে ঝুমুর এলাকার বাস কাউন্টার নিয়ে পূর্ব থেকে দ্বন্ধ চলে আসছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বুধবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী শাহী ও জোনাকী পরিবহনের ঝুমুর কাউন্টারে টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্টারের লোকজনের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেখানে থাকা শাহী কাউন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন ১০নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তারেক। কথা-কাটাকাটির জেরে জোনাকি কাউন্টারের পক্ষে ঘটনাস্থলে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যান আরেক পদপ্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীরের অনুসারী যুবদল কর্মী আহত মিজান মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীরসহ তারা ঝুমুর এলাকায় যান। রাতে সাড়ে ৮ টার দিকে তারেক ও তার কর্মী সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। পরে মটকা মসজিদ এলাকায় অবস্থান নিলে সেখানে দু'গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাস কাউন্টারের একাধিক কর্মী জানান, জেলা যুবদলের নতুন কমিটির পর থেকে যুবদের শীর্ষ এক নেতার ছত্রছায়ায় কাউন্টার দখল করে লাখ লাখ টাকা উত্তলন করা হচ্ছে। এখন সে টাকার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ঘটনার পর আহতদের সদর হাসপাতালে দেখতে যান জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ুন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অরূপ পাল বলেন, হাসপাতালে আহত ১৬ জন চিকিৎসা নিতে আসে। এদের মধ্যে দুই জনকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা ও একজনকে রেফার্ড করা হয়। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোন্নাফ বলেন, দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা শুনেছি। তবে কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।