ট্রাম্পকে সরাতে রাষ্ট্রদ্রোহের চক্রান্তে যুক্ত ছিলেন ওবামা প্রশাসন: তুলসী গ্যাবার্ডের অভিযোগ


ট্রাম্পকে সরাতে রাষ্ট্রদ্রোহের চক্রান্তে যুক্ত ছিলেন ওবামা প্রশাসন: তুলসী গ্যাবার্ডের অভিযোগ

বারাক ওবামার প্রশাসনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালের নির্বাচনোত্তর সময়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিতর্কিত করতে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িয়েছিলেন ওবামা ও তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শনিবার দেওয়া এক বক্তব্যে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, “২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ফল হিসেবে তুলে ধরতে গোয়েন্দা তথ্য জাল করে একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা মার্কিন জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। এটি ছিল এক দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্র।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব নথি আমরা প্রকাশ করছি, তা স্পষ্ট করে, ২০১৬ সালে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরানো এবং জনগণের রায়কে বাতিল করা।”

গ্যাবার্ডের মতে, এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া জরুরি এবং তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁর ভাষায়, “এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত, তারা যতই ক্ষমতাশালী হোন না কেন, তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন চেষ্টা না করে।”

তাঁর দাবি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওবামা প্রশাসনের একাধিক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা অংশ নেন।

ওই বৈঠকের পর জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক জেমস ক্ল্যাপারের সহকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেন একটি বিশ্লেষণ তৈরি করতে। এতে ট্রাম্পের বিজয়ে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনার নির্দেশনা দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে সিআইএ, এফবিআই, এনএসএ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ মিলে প্রস্তুত করে।

এই গোয়েন্দা বিশ্লেষণ ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। তবে গ্যাবার্ডের ভাষ্য অনুযায়ী, “প্রতিবেদনটি ছিল বিতর্কিত এবং পূর্ববর্তী মূল্যায়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে এমন কিছু উৎস ব্যবহার করা হয়েছিল, যাদের ‘অবিশ্বস্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।”

এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টসহ একাধিক মার্কিন গণমাধ্যমকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিলেন। এসব তথ্যের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছিল যে, রাশিয়া সাইবার হ্যাকিং ও হামলার মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছিল।

তুলসী গ্যাবার্ডের এসব অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ওবামা বা তাঁর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×