ইরাকে নরওয়ের কোম্পানির তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা

ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ফের ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার তুরস্ক সীমান্তবর্তী তাওকে এলাকায় নরওয়ের তেল ও গ্যাস কোম্পানি ডিএনও পরিচালিত একটি তেলক্ষেত্র লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। কুর্দিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সপ্তাহজুড়ে একাধিক তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার মধ্যে এটি ডিএনওর তেলক্ষেত্রে দ্বিতীয় আঘাত। প্রতিষ্ঠানটি তাওকে ও পেশখাবুর—এই দুটি তেলক্ষেত্র পরিচালনা করে, যেগুলো কুর্দিস্তানের জাখো অঞ্চলে অবস্থিত।

বৃহস্পতিবারের হামলায় কেউ হতাহত না হলেও বিস্ফোরণের কারণে তেল উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ডিএনও কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দেয়নি।

প্রভাব: তেল উৎপাদনে বড় ধাক্কা
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে একের পর এক ড্রোন হামলার কারণে কুর্দিস্তান অঞ্চলের তেল উৎপাদন প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে দেড় লাখ ব্যারেল পর্যন্ত কমে গেছে।

জ্বালানি খাতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় অবকাঠামোর ক্ষতির কারণে একাধিক তেলক্ষেত্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে।

বুধবারও মার্কিন তেল কোম্পানির ওপর হামলা
এর আগে বুধবার, উত্তর ইরাকের দোহুক অঞ্চলে মার্কিন কোম্পানি হান্ট অয়েলের পরিচালিত আইন সিফনি তেলক্ষেত্রেও ড্রোন হামলা হয়। যদিও এতে কেউ আহত হয়নি, তবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের জন্য তারা কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে।

কে দায়ী?
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে কুর্দিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলো ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।