ময়মনসিংহে করোনা আক্রান্ত ২ জন আইসিইউতে ভর্তি


ময়মনসিংহে করোনা আক্রান্ত ২ জন আইসিইউতে ভর্তি

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই রোগী আইসিইউতে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে প্রাথমিকভাবে তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে কিটের রিএজেন্ট না থাকায় চূড়ান্তভাবে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় হাসপাতালটিতে সেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকালে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউয়ের মতো পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে কোভিড ওয়ার্ড। ইতোমধ্যে স্টাফদের দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্রিফিং। প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর আমাদের যে নির্দেশনা দেবে, আমরা সে মোতাবেক সব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবো।

সূত্র জানায়, বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে ২ জন করোনা শনাক্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে রিএজেন্ট কীট সঙ্কটে হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা মাধ্যম আরটিপিসিআর বর্তমানে অচলাবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় শুধু র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপর নির্ভর করেই করোনা শনাক্ত করা হচ্ছে।

মমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজিয়া হক জানান, পিসিআর মেশিন সচল রয়েছে এবং অন্য রোগের ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়মিতই ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট রিএজেন্ট কিট নেই, যা বাংলাদেশে শুধু হাতে গোনা ২টি কোম্পানির কাছেই সীমিত পরিমাণে রয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে কীট সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কীট রয়েছে তাতে মাত্র ৩০০ জনের পরীক্ষা করা সম্ভব। আরটিপিসিআর ছাড়া কোভিডের শতভাগ নির্ভরযোগ্য শনাক্তকরণ সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সচিব রফিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরকে কীট সরবরাহের জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে তাদের মজুতেও রিএজেন্ট নেই। এখন স্থানীয়ভাবে কীট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×