শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ব্যবহারে কঠোর নির্দেশনা
- শিক্ষা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:০৩ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৫

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং খাতা মূল্যায়নের সংবেদনশীল বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে জানানো হয়েছে, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুযায়ী অনলাইন আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হলে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা সামাজিকমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য, ছবি বা মন্তব্য প্রচার করতে পারবেন না যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করে, প্রশাসনিক গোপনীয়তা ভঙ্গ করে বা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনা এবং এর আগে এইচএসসি খাতা মূল্যায়নের ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। উভয় ঘটনার পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ড শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
মাউশি জানায়, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক, টিকটক বা ইউটিউব আইডিতে মত প্রকাশের সময় সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি মেনে চলবেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও স্কুল-কলেজ প্রশাসনকে সক্রিয় নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে যাতে পরীক্ষার প্রশ্ন, ফলাফল বা গোপন নথি সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে না পারে।
অধিদপ্তর মনে করছে, দায়িত্বহীন আচরণ ছাড়া সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষকদের উপস্থিতি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল নৈতিকতা’ ও ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা’ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তথ্য এখন ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত না হলে তা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়ম ভঙ্গ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।