পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই সনদ’


পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ‘জুলাই সনদ’

‘জুলাই সনদ’কে স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, তবে তা বাস্তবায়ন হতে কিছুটা সময় লাগবে। যদিও প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বইয়ে বিষয়টি আনার পরিকল্পনা ছিল, সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ২০২৭ সালের পাঠ্যবই সংস্করণে সনদের সম্পূর্ণ বা সংক্ষিপ্ত রূপ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে গত রোববার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত পাঠ্যপুস্তক সংক্রান্ত এক বৈঠকে। সেখানে মত দেওয়া হয়, ‘জুলাই সনদ’ এখনো বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২০২৬ সালে তা পাঠ্যবইয়ে না রেখে পরবর্তী সংস্করণে সংযোজন করাই হবে অধিক যুক্তিসঙ্গত।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল ২০২৬ সালের পাঠ্যপুস্তকে ‘জুলাই সনদ’কে সংক্ষেপে উপস্থাপন করার। কিন্তু এটি পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় এবং তথ্যের ঘাটতি থেকে ভুল উপস্থাপনের আশঙ্কায় সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখার পরামর্শ এসেছে।

জাতীয় শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির এক সদস্য, যিনি পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক, বলেন, “পাঠ্যবইয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। ছাপার কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এই পর্যায়ে নতুন কোনো অনুচ্ছেদ যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় বা জনবল নেই। শুধু লেখা যুক্ত করলেই হয় না, সেটিকে যথাযথ সম্পাদনা, সংশোধন ও অনুমোদনের ধাপ পেরোতে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদ সই করা হলেও এখন পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। এ অবস্থায় এটি এখনই পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করলে ভুল তথ্য পরিবেশনের আশঙ্কা থেকেই যায়। শুরুতে দু-একটি লাইন যোগ করার চিন্তা ছিল, কিন্তু এতটা সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করলে বিষয়টি বিকৃত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই আমরা চাই একটি পূর্ণাঙ্গ অনুচ্ছেদ হিসেবে এটি উপস্থাপন করতে, যা ২০২৭ সালের সংস্করণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×