ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৪২ পিএম, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসব শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিরুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের উর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক অমিত কুমার চক্রবর্তীর সঞ্চালন্য় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম মাহাবুবুল হক মজুমদার, ট্রেজারার হামিদুল হক খান, বাণিজ্য ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মাসুম ইকবাল, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. লিজা শারমিন, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নাদির বিন আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
দিনব্যপী আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল র্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, কেক কাটা, মানব লগো তৈরি, খেলাধুলা, ফান ইভেন্টস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সংয়ের নৃত্যনাট্য পরিবেশনা। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। শীতের প্রচন্ড কুয়াশা উপেক্ষা করে ২২ হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা বর্ণিলসাজে সজ্জিত হয়ে শনিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে মিলিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমাগত উন্নয়নের ধারায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মো. সবুর খান বলেন, ‘ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হবে বাংলাদেশের প্রথম স্কীল ফোকাসড ইউনিভার্সিটি এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীও বেকার থাকেবে না। দুয়েকজন বেকার থাকলেও যারা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি হবে, তারা তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ অন্যান্য প্রযুক্তিতে অমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে দক্ষ করে তুলতে চাই, যাতে তারা বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে।’
সবুর খান বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্যরে জন্য নয় বরং আমরা আমাদের নৈতিকতাকেও জাগ্রত করতে চাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য গত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ৩১ কোটি টাকার বৃত্তি দেয়া হয়েছে; যা প্রতিটি শিক্ষার্থী কম-বেশী পেয়েছে।’
এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিশ্ব র্যাংকিংয়ের সবকটি সূচকেই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে এবং আগামী দিনেও এ বিশ্ববিদ্যালয় আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় ৩০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ বিশ্ববিদ্যালয়। সংখ্যায় আমরা অসংখ্য হলেও সম্মিলিতভাবে আমরা একক এবং আমরা সবাই ড্যাফোডিলিয়ান।’