নভেম্বর থেকে বিকাশ-নগদ-রকেটে টাকা পাঠাতে গুনতে হবে মাশুল
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:০০ এম, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

আগামী ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস যেমন বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হলে গ্রাহকদের গুনতে হবে নির্দিষ্ট হারে সার্ভিস চার্জ। ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও কেন্দ্রীয় করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এই নতুন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার, ১৩ অক্টোবর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে জারি করা এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’ বা এনপিএসবি প্ল্যাটফর্মের আওতায় ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোকে (পিএসপি) একত্রিত করে আন্তঃলেনদেনের সুযোগ চালু করা হচ্ছে। এর ফলে একজন গ্রাহক খুব সহজেই ব্যাংক থেকে বিকাশ, নগদ বা রকেটে এবং সেখান থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন।
তবে এই সুবিধার বিপরীতে দিতে হবে কিছুটা চার্জ। বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলারে জানিয়েছে, লেনদেনের ধরন অনুযায়ী সর্বোচ্চ কতটুকু ফি নেওয়া যাবে, তার নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক থেকে টাকা পাঠালে সর্বোচ্চ ০.১৫%, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে ০.২০% এবং মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান থেকে ০.৮৫% পর্যন্ত ফি আদায় করা যাবে।
এতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ ব্যাংক থেকে এক হাজার টাকা মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হলে গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা চার্জ দিতে হবে। পিএসপি থেকে একই পরিমাণ টাকা মোবাইলে পাঠালে দিতে হবে সর্বোচ্চ ২ টাকা। অন্যদিকে, বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো এমএফএস প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে চার্জ হতে পারে সর্বোচ্চ ৮ টাকা ৫০ পয়সা।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, “প্রেরকের কাছ থেকে ফি কর্তনের আগে তাকে এই চার্জ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে এবং চার্জ কেবলমাত্র প্রেরকের হিসাব থেকে কাটা যাবে। প্রাপকের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না।”
বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদী, এই নতুন আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থা দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট অবকাঠামোকে আরও সুদৃঢ় করবে এবং ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাত্রা আরও গতিশীল হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এর মাধ্যমে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আর্থিক লেনদেন হবে আরও দ্রুত, সাশ্রয়ী এবং নিরাপদ।
অর্থনীতিবিদরাও এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, এতে করে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে ডিজিটাল লেনদেন আরও বিস্তৃত হবে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা সহজ হবে।