পাঁচ দিনে পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১০৭৬৮ কোটি টাকা

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১০ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকার বাজার মূলধন হারাতে হয়েছে। যদিও এই সময় লেনদেনে কিছুটা গতি ফিরেছে।

শনিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণ থেকে এই চিত্র পাওয়া গেছে। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩২.৭ পয়েন্ট বা ২.৪৪ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৫,২৮৩ পয়েন্টে।

অন্যান্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮.৮০ পয়েন্ট বা ২.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২,০৩৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ৩৭.৭১ পয়েন্ট বা ৩.২২ শতাংশ, যা এখন ১,১৩৪ পয়েন্টে। তবে এসএমই সূচক ডিএসএমইএক্স উল্টো প্রবণতায় ৯৫.১৬ পয়েন্ট বা ৯.৮৩ শতাংশ বেড়ে ১,০৬৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে।

সপ্তাহের শেষে ডিএসইর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকায়, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ মাত্র পাঁচ দিনে বাজার থেকে হারিয়ে গেছে ৭,৯৩৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

লেনদেনের দিক থেকে বাজার কিছুটা চাঙা ছিল। ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩,২৮৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ১,৮৬০ কোটি ৩২ লাখ টাকার তুলনায় ১,৪২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা বেশি।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৭৯টির দর বেড়েছে, ২৯৮টির কমেছে এবং ১৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ১৭টি কোম্পানির শেয়ারে কোনো লেনদেন হয়নি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই ধারা লক্ষ্য করা গেছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৩২.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৭ শতাংশ কমে ১৪,৯৪৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৯৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২,৯৭৭ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক ০.৮২ শতাংশ কমে ৯,১৮৮ পয়েন্টে, আর সিএসআই সূচক ০.৭০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪৮ পয়েন্টে। তবে এসইএসএমইএক্স সূচক বেড়ে ৭.৩৬ শতাংশে উন্নীত হয়ে হয়েছে ২,০৫৪ পয়েন্ট।

সিএসইর বাজার মূলধন সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭ লাখ ২০ হাজার ৪২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ২,৮৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

লেনদেনের দিক থেকে সিএসইতেও বৃদ্ধি দেখা গেছে। এই সময় বাজারে ৬৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ৩২১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৯৭টির কমেছে এবং ২২টির দর অপরিবর্তিত ছিল।